স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

ফরিদপুরে গায়ে হলুদের রাতে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় চারজনকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। রায়ের বিষয়টি রোববার (৩১ জানুয়ারি) নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।

আসামিদের আপিল খারিজ ও ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, ড. ফজলুর রহমান ও চঞ্চল কুমার বিশ্বাস।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ জানান, ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর ফরিদপুরের কাশেমাবাদ গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন ১৪ ডিসেম্বর ওই এলাকার পাশ্ববর্তী একটি বাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। এরপরে ১৫ ডিসেম্বর ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় এ ঘটনায় নিহতের ভাই হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বিচার শেষে ২০১৫ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আসামি শামীম মণ্ডল, বাবুল হোসেন, জাহিদুল হাছান ও আকাশ মণ্ডলকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এছাড়া ধর্ষণের অপরাধে ‍তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত। তবে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় মৌসুমী নামে এক আসামিকে খালাস দেন আদালত।

পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা হাইকোর্টে আপিল ও জেল আপিল করেন। শুনানি শেষে আসামিদের আপিল খারিজ করে দিয়ে ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ করে রায় দেন বিচারক।