স্ত্রীর দেওয়া তালাকের নোটিশের পর জাহাঙ্গীরকে এবার দুদকে তলব

দলীয় মনোনয়ন নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের। কিন্তু দলের সিদ্ধান্তের বাইরে ভোটে দাঁড়ানোয় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। এরইমধ্যে তার স্ত্রীর পক্ষ থেকে তালাকের নোটিশ পাওয়ার রেশ না কাটতে এবার জাহাঙ্গীর আলমকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

আগামী সোমবার (২২ মে) তাকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গাজীপুরের বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।

তলবি নোটিশে তাকে আগামী ২২ মে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক আলী আকবর অনুরোধ করেছেন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৬ মে) দুদক থেকে পাওয়া দুটি তলবি নোটিশ গ্রহণ করেন জাহাঙ্গীর। এর আগে গত সোমবার দুদকের উপপরিচালক মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি নোটিশ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়রের ঠিকানায় পাঠানো হয়।

কমিশন আইনের ১৯ ও ২০ ধারামতে ‘অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ’ করার জন্য দেওয়া এই নোটিশ অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎসহ ভুয়া বাংক অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি টিম গঠন করে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে দুদক।

নোটিশ নির্ধারিত সময়ে দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে অভিযোগের বিষয়ে জাহাঙ্গীরের কোনো বক্তব্য নেই বলে গণ্য করা হবে বলে নোটিশ উল্লেখ করা হয়েছে।

এরআগে গত ১৫ মে জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। এর আগে ১৪ মে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি ওঠে।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নিজ জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে নিয়ে গাজীপুর সিটির তৎকালীন মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিতর্কিত বক্তব্যের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর জেরে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে।