‘স্বল্প পরিসরে’ ইভিএম ব্যবহারের পরামর্শ জাতীয় নির্বাচনে

আসছে নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট করা সহজ হবে না, তবে তা একেবারে অসম্ভব হবে না বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে এত বড় ঝুঁকি এ দফায় না নেওয়ারই পরামর্শ সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজের। তার পরামর্শ, স্বল্প পরিসরে এ পদ্ধতি ব্যবহারের।

কাগজের ব্যালট বাদ দিয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) যাত্রা শুরু ২০১০ সালে। সেবার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে করা হয় পাইলটিং। এরপর গত ১২ বছরে স্থানীয় সরকার থেকে জাতীয় নির্বাচন বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যবহার হয়েছে ইভিএম।

শুরু থেকেই এ পদ্ধতির পক্ষে-বিপক্ষে রাজনৈতিক দল। আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আবারও আলোচনায় ইভিএম। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চায় ৩০০ আসনেই এ পদ্ধতির ব্যবহার হোক। আর বিএনপি বলছে, ইভিএম গ্রহণযোগ্য হবে না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও কমিশন বলছে ৩০০ নয়, আপাতত তাদের ভাবনায় ১০০ আসনে ইভিএম ব্যবহারে।

১০ মে মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘ভোট কোন পদ্ধতিতে হবে, সেটি আমাদের বিষয়। তবে এ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের সক্ষমতা নেই।’
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের জন্য প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

তবে ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কমিশন চাইলে সামনের দেড় বছরে হয়তো ৩০০ আসনের জন্যই কারিগরিভাবে গুছিয়ে দেওয়া সম্ভব। তবে তা হবে চ্যালেঞ্জিং।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বলেন, অনেক হার্ডওয়্যার লাগবে, অনেক। তারপর অনেক মেশিনের মধ্যে সমস্যা দেখা দিতে পারে। দেখভাল করার মানুষ লাগবে। সে জন্য এটা একটা বড় কাজ। তবে যদি পারি, সিরিয়াসলি পারা যায় তাহলে বড় একটা কাজ হয়ে গেল।

এদিকে সাবেক নির্বাচন কমিশনার মনে করেন, শুধু প্রযুক্তিগত দিক দেখলেই হবে না। এগুলো তৃণমূলে পৌঁছানো, ব্যবহারকারীদের প্রশিক্ষণ, ভোটারদের অভ্যস্ত হওয়া সর্বোপরি রাজনৈতিক দলের মতৈক্য না হলে এত বড় পরিসরে ব্যবহার না করাই ভালো।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, কক্ষগুলোতে আলাদা আলাদা ইভিএম নিতে হবে। ব্যাকআপ রাখতে হবে। বড় একটা টাকা লাগবে ইভিএমে সেটা এখন সম্ভব নয়।
তবে পরিকল্পনা করে এগিয়ে গেলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পুরোপরি ইভিএমে করা সম্ভব বলেই মত তাদের।
সৌজন্যে: সময় সংবাদ