স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ বপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভাষা আন্দোলন শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্ররা। তখন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারই উদ্যোগে তমদ্দুন মজলিশসহ কয়েকটি সংগঠন ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলে। তিনি এ আন্দোলন করতে গিয়েই কারাবরণ করেন। অথচ ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি পদক্ষেপ মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল, এটা অনেকে বিশ্বাসই করতে চান না। অথচ এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ বপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।’

রোববার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি যুক্ত ছিলেন।

এই অনুষ্ঠানে মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন, বিকাশ, চর্চা, প্রচার-প্রসারে অবদানের জন্য জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামসহ তিন ব্যক্তি এবং এক প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রথমবারের মতো তুলে দেওয়া হয় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাষা জাতির পরিচয় এবং তাই আমাদের সম্মান দেয়। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনেই জাতির পিতা কাজ করছেন। মায়ের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে যেয়েই জাতির পিতা মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন।

আন্তজার্তিক যোগাযোগের মাধ্যম যেমন গুরুত্ব দিতে হবে তেমনি মাতৃভাষাকাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। কুচক্রীমহল ইতিহাস থেকেই জাতির পিতাকে মুছে ফেলতে চেষ্টা করছে। শুধু বাংলা নয় বিশ্বের হারিয়ে যাওয়া ভাষা সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিয়েই সরকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের বাধা অতিক্রম করেই দেশ আরও আগ্রগতি উন্নতিতে এগিয়ে যাবে।