টাকার জন্য জাতিসংঘে আটকে আছে বাংলা ভাষা তালিকাভুক্তি

অর্থের কারণে আটকে আছে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে তালিকাভুক্তির কাজ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশের কাছে বছরে ৬০ কোটি ডলার দাবি করেছে এই সংস্থাটি। তাই আপাতত অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রমটি স্থগিত রয়েছে।

২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পর থেকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চেষ্টা ছিল জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষার তালিকায় বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করার। এ নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতাও চালানো হয়। কিন্তু সংস্থাটির পক্ষ থেকে চাওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থের কারণে তা আটকে যায়। তবে, বাংলাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে সংস্থাটির পক্ষ থেকে কোন আপত্তি নেই বলেও জানা গেছে।

বর্তমানে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা রয়েছে ৬টি। শুরুতে ৫টি ভাষা থাকলেও পরে আরবিকেও সেখানে যোগ করা হয়। আরবি ভাষার জন্য ১৯ বছর আরব দেশগুলো টাকা দিয়ে এটি চালু রেখেছে। আগে অন্যান্য দেশ, যেমন- ভারত তার হিন্দি, জাপান তার জাপানিজ চেয়েছিল কিন্তু কোনোটাই হয়নি। কেউ না করেনি, কিন্তু টাকাটা কে দেবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।

আর বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা হবে সপ্তম ভাষা। তবে এ এক্ষেত্রে সদস্য দেশগুলোর যে খরচ হবে, তা বহন করতে হবে প্রস্তাবকারী দেশকেই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে ব্যবহারের প্রচেষ্টা সরকারের আছে, তবে অর্থের কারণে সেই প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে বলে জানান।