স্বামীর সহায়তায় ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেফতার

গাজীপুরের শ্রীপুরে এক পোশাক কর্মীকে (১৯) স্বামীর সহায়তায় বাসের ভেতর ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফারুক হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ফারুক কিশোরগঞ্জ সদর থানার হযরতনগর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। সে শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া এলাকার বদর স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শ্রমিককে বহনকারী গাড়িচালক। দ্বিতীয় অভিযুক্ত ভিকটিমের স্বামী সোহেল রানা পলাতক। সে ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার গোসবি গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে।

মামলার বিবরণ ও ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভিকটিম শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। প্রতিবেশী পরিচয়ের সূত্রে গত তিন মাস আগে সোহেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক মতানৈক্য দেখা দেয়। শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভিকটিমের স্বামী সোহেল রানা তার বন্ধু অভিযুক্ত ফারুক হোসেনকে ফোনে তার বাসায় ডেকে আনে। পরে ওই রাত ১০টার দিকে ফারুক হোসেনের সঙ্গে ভিকটিমের বাবার ভাড়া বাসা মাওনা চৌরাস্তা হেকিম মাস্টারের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ভিকটিমকে তার সঙ্গে পাঠিয়ে দেয়। রাতে তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী বদর স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শ্রমিকদের বিভিন্ন জায়গায় নামিয়ে দেয়। বাস ফাঁকা হলে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে পাশের কাওরাইদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রামের একটি বাঁশ ঝাড়ের পাশে নির্জন স্থানে বাসের ভেতর তাকে ধর্ষণ করে। পরে রাত আনুমানিক ২টার দিকে ভিকটিমকে মাওনা চৌরাস্তা তার বাবার ভাড়া বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়ে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ভিকটিম তার স্বামীর বন্ধুকে প্রধান ও সহায়তা করায় তার স্বামীকে দ্বিতীয় অভিযুক্ত করেছে। প্রধান অভিযুক্ত ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের স্বামী পলাতক।