স্লোগান আর গানে আ.লীগের বিজয় শোভাযাত্রা

একের পর এক ট্রাক, পিকআপ ভ্যান। কোনোটিতে দেশাত্মবোধক গান বাজছে, কোনোটায় কর্মীদের স্লোগান। ‘শেখ হাসিনা, নৌকা’ স্লোগানও শোনা গেল কোনো কোনো ট্রাকে। এ ছাড়া কিছু ট্রাকে মুক্তিযোদ্ধা সেজে পাকিস্তানি সেনাকে বন্দী করে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যও দেখা গেল।

এভাবে শনিবার বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিজয় শোভাযাত্রা করেন। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ধানমন্ডি ৩২ পর্যন্ত এ শোভাযাত্রা চলে। রাজধানী ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এতে অংশ নেন।

শোভাযাত্রার আগে ট্রাকের ওপর নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের নেতারা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আমাদের প্রতিপক্ষ কারা? আমাদের প্রতিপক্ষ বিএনপির নেতৃত্বে জয় বাংলাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি। জয় বাংলাবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, সাম্প্রদায়িক শক্তি বিএনপির সঙ্গে লড়াইয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী শক্তি বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও বিজয়ী হবে।’

এর আগে বেলা তিনটার দিকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিজয় শোভাযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত।

বিজয় শোভাযাত্রায় জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে নেতা-কর্মীরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন। দুপুর থেকে নেতা-কর্মীরা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকেন।

ঢাকার বিভিন্ন আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ ও তাঁদের অনুসারীরা বিজয় শোভাযাত্রায় ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান নিয়ে অংশ নেন। এ সময় তাঁদের গাড়িবহরের সামনে-পেছনে মোটরসাইকেলে করে নেতা-কর্মীরা রাস্তা ফাঁকা করতে করতে এগিয়ে চলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা আওয়ামী লীগের নারী সদস্যরা জাতীয় পতাকা বহন করেন। পতাকাগুলো ছিল রাস্তার উভয় পাশ পর্যন্ত চওড়া। শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া নারীরা লাল-সবুজ শাড়ি, ছেলেরা টি-শার্ট ও লাল হলুদ ক্যাপ পরে। বিজয় শোভাযাত্রার সময় শাহবাগ, ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাব ও এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।