হুইল চেয়ারে বসেই প্রচারণায় নামলেন মমতা

প্রতিশ্রুতি মোতাবেক হুইল চেয়ারে বসেই আসন্ন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারণায় নেমেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

রবিবার (১৪ মার্চ) নন্দীগ্রাম দিবসকে সামনে রেখে কলকাতার মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির পাদদেশ থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করে মমতার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস।

পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, রবিবার দুপুর পৌনে ২টা নাগাদ কালীঘাটের বাড়ি থেকে হুইল চেয়ারে বসেই নির্বাচনী প্রচারণায় মেয়ো রোডে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। এর পর সেখান থেকে তার নেতৃত্বেই পূর্বনির্ধারিত মিছিল শুরু হয়। এ সময় হাজরা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ পদযাত্রা করে বর্তমান রাজ্য ক্ষমতাসীন দলটি।

মিছিলে বিজেপিকে উদ্দেশ করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেন, নেত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলা দেয়ার তীব্র নিন্দা জানাই। ভাঙা পায়েই (আহত মমতার দিকে ইঙ্গিত করে) নবান্ন (রাজ্য মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন) দখল করা হবে।

বিজেপিকে ‘বহিরাগত’ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, সিপিএম-বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও দেয়া হবে না। বাংলায় তাদের কোনো স্থান নেই।

অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় এদিন কর্মসূচি ঘিরে প্রচুর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ছিল পুলিশের ব্যারিকেড। মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে ভারতীয় বাংলা সিনেমার কলাকুশলীরা।

এর আগে গত সপ্তাহের বুধবার মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে নমিনেশন পেপার জমা দেয়ার পর প্রচারে থাকার সময় পায়ের পাতায় চোট পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। প্রতিপক্ষের হামলায় এমনটা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। তবে সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে এ ঘটনায় গঠিত নির্বাচন কমিশনের দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি।

আহত হওয়ার কারণে হাসপাতালেও থাকতে হয়েছিল তৃণমূল নেত্রীকে। এর পর জনতার উদ্দেশে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, প্রয়োজনে হুইল চেয়ারে বসেই প্রচারণায় নামবেন তিনি।