১৩০০ রোহিঙ্গা বিদ্রোহীর নাম বাংলাদেশকে দিয়েছে মিয়ানমার

রাখাইন প্রদেশের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) এক হাজার তিনশ’ সদস্যকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করার পর তাদের তালিকা বাংলাদেশকে দিয়েছে মিয়ানমার।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির ১৩শ’ সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীর নামের তালিকা বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। বুধবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে মিজিমা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে ফেরাতে মিয়ানমার-বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা দেশটির রাজধানী নেইপিদোতে দু’দিনের বৈঠকে বসেন সোমবার। পরে মঙ্গলবার দুই দেশের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু করতে ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

এতে বলা হয়, যাচাই-বাছাই উতড়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যবাসন আগামী দুই বছরের মধ্যে শেষ হবে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো বলছে, ১৯৮০ সালের মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী সন্দেহভাজন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হস্তান্তর করতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে শুরু হওয়া দেশটির সেনাবাহিনীর রক্তাক্ত অভিযান, জ্বালাও-পোড়াওয়ে সাড়ে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হলেও তা বরাবরই অস্বীকার করা হয়। তবে গত সপ্তাহ সপ্তাহে সংখ্যালঘু ১০ রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যায় দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা জড়িত বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সহিংসতায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরানোর লক্ষ্যে ডিসেম্বরে দুই দেশের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়।

মিয়ানমারের সামাজিক কল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ে বলেন, রাজধানী নেইপিদো বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে মিয়ানমার। বাংলাদেশ থেকে কতসংখ্যক রোহিঙ্গা ফেরত নেয়া হবে এবং তাদের কীভাবে যাচাই-বাছাইয়ের পর শিবিরে আশ্রয় দেয়া হবে সেব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।