১৬ প্রাণ নিয়ে শেষ হলো ভোট, ফলের অপেক্ষা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভোট বর্জন করেছেন প্রায় ৩০ জনের মতো প্রার্থী।

এর আগে সকালে শীতের ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে যান ভোটাররা। সকালে ভোটারদের সংখ্যা কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে।

এদিকে ভোটপ্রদানকে কেন্দ্র করে কুমিল্লায় এক বিএনপিকর্মীকে পিটিয়ে ও একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে একজন, চট্টগ্রামের পটিয়ায় যুবলীগ কর্মী, এক ইসলামী ফ্রন্ট কর্মী ও বাঁশখালীতে জাতীয় পার্টির কর্মী নিহত হয়েছেন।

অপরদিকে রাঙ্গামাটিতে যুবলীগ নেতা, রাজশাহীর মোহনপুরে আওয়ামী লীগ নেতা, একই জেলার তানোর উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় গুলিতে এক রাজমিস্ত্রি, টাঙ্গাইলে এক বিএনপি নেতার মরদেহ উদ্ধার, বগুড়ার কাহালুতে একজন নিহত ও দিনাজপুরে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।

এছাড়াও দুপুরের পর নাটোরের নলডাঙ্গা ও নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন।

নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান ও রাতেই বাক্স ভরার অভিযোগ করে ভোট বর্জন করে জামায়াতে ইসলামী। ঢাকা-১৭ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষের প্রার্থী আন্দালিব রহমান পার্থ ভোট বর্জন করেছেন।

খুলনা-৫ (ফুলতলা-ডুমুরিয়া) আসনে ভোট বর্জন করেছেন ধানের শীষের প্রার্থী ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এছাড়া খুলনা-১ আসনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী সুনীল শুভ রায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন শেরপুর-২ ও শেরপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী ফাহিম চৌধুরী এবং মাহমুদুল হক রুবেল। মাদারীপুর-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের ২০ দলীয় জোটের ধানের শীষের প্রার্থী কারাবন্দী আ ন ম শামসুল ইসলামের পক্ষে তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট জাফর সাদেক বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন।

উল্লেখ্য, দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে ২৭ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

এবারের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৮৬১জন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৩৩ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ১২৮ জন প্রার্থী।