২১’শের চেতনাকে তুলে ধরতে ঠাকুরগাঁওয়ে রঙয়ের তুলিতে একুশে আলপনা

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ২১শের চেতনাকে লালন, ধারণ ও বিস্তার ঘটানোর জন্য ঠাকুরগাঁওয়ে সড়কে আকাঁ হয়েছে আলপনা।

ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় (বড়) মাঠে অবস্থিত জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। শহীদ মিনার সংলগ্ন পূর্ব পাশের সড়কে আলপনা আকঁছে শিশুসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। ২০ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে রংয়ের তুলিতে আলপনা আকাঁ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান।

একুশের প্রভাতফেরিতে ভাষার গানটির সঙ্গে সঙ্গে আরও একটি বিষয় বর্তমানে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। সেটি হলো প্রভাত ফেরির রাস্তায়, শহীদ মিনার চত্বরে, আলপনা আঁকা থাকতেই হবে। আজ যত সহজ ও স্বাভাবিকভাবে শহীদ মিনার চত্বরে এবং সমাজ জীবনের যেকোনো শুভ কাজে অনুষ্ঠান স্থলে আলপনা আঁকা হয় এর প্রতিষ্ঠায় রয়েছে সংগ্রামী ইতিহাস।

আর একুশের চেতনাকে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের কাছে তুলে ধরতে রাস্তায় রঙয়ের তুলিতে একুশে আলপনা আঁকার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।

ঠাকুরগাঁও শহীদ মিনারের পাশের সড়কে লাল, নীল, হলুদ, সাদাসহ নানা রঙের বর্ণীল আলপনা আমাদের সব বয়সের মানুষকে একুশের চেতনায় উদ্দীপ্ত করে। একুশ মানেই ভাষা শহীদদের হারানোর শোক। একই সাথে একুশ মানে মাতৃভাষাকে অর্জনের গৌরব। তাই এই দিনটিকে পালনের লক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

আলপনা আকঁতে আসা শিফা খানম নামে এক স্কুল শিক্ষক বলেন, ‘ভাষার জন্য কোন কিছু করতে না পারলেও ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য আলপনা আকঁতে আমার খুবি ভালো লাগে। শহীদের জন্য যেটুকু সময় পাই তাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। তাই আজকে এখানে আলপনা আকঁতে এসেছেন বলে জানান তিনি।,

মুক্তিযোদ্ধার সপক্ষের সমর্থক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন বলেন, একুশের চেতনাকে ধারণ ও বিস্তার করার জন্য আমাদের নতুন প্রজন্ম আলপনা আকাঁর যে উদ্যোগ গ্রহণ করছে নিঃসন্দেহে এটি প্রশংসনীয়।

আলপনা আকঁতে আসা ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী দীপান্বিতা সেন বলেন, এর আগে এখানে আলপনা আকাঁর সুযোগ পাইনি প্রতিবারে বড় আপুরা এখানে আলপনা আকঁতো। এবার আমারও সুযোগ হয়েছে এখানে আলপনা আকাঁর। যতটুকু পেরেছি একেঁছি। আকঁতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে বলে বলেন তিনি।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার বলেন, আগে আলপনা একেঁ শিশুসহ নতুন প্রজন্মকে পথ দেখানো হতো। ভাষা আন্দোলনে শহীদরা কতোটা ত্যাগ শিকার করেছিল সেটিকেই এই আলপনার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার একটি প্রয়াশ। তাই আজকে এখানে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে আলপনা আকঁছি।

চন্দনা ঘোষ বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারেও আমি আলপনা আকঁতে এসেছি। নতুন প্রজন্মের কাছে একুশের চেতনার বিকাশ ঘটানোর জন্য এই আলপনা আকাঁ হচ্ছে।