৪২ প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দেশের ৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অংশ নেওয়া কোনো শিক্ষার্থী পাস করেননি। গতবার শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫০টি। এই হিসাবে এবার শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কিছুটা কমেছে।

আজ রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

গতবারের চেয়ে এবার পাসের হারও কিছুটা কমেছে। গতবার পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এবার এইচএসসি ও সমমানে সব বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গতবার এইচএসসি ও সমমানে মোট পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

ফলাফলে দেখা যায়, সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। এছাড়া ময়মনসিংহ ও দিনাজপুর বোর্ডে ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।

সব শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় মোট পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষার্থী। শুধু ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৯ শতাংশ। তাছাড়া মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে পাস করেছেন ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ।

এ বছর ১১টি শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সাড়ে ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। সেই হিসাবে এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮৩ হাজার ৯১৭ জন।

আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ফল প্রকাশ করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফল হস্তান্তর করা হয়। রবিবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এইচএসসির ফলাফলের অনুলিপি এবং পরিসংখ্যান প্রতিবেদন তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।