৫০ প্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল, ১৩৩০টিতে শতভাগ পাস

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলে দেশের এক হাজার ৩৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।

আর একজনও পাস করেননি এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫০টি।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপর শিক্ষামন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণার সময় এই তথ্য দেন দীপু মনি।

এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সর্বমোট ৯ হাজার ১৩৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষায় মোট কেন্দ্র ছিল ২ হাজার ৬৩৭টি।

ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে সরবারাহকৃত প্রতিবেদনে দেখা যায়, শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৩৩০টি। এর মধ্যে মাদরাসায় সর্বোচ্চ ৮১৪টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শতভাগ পাস করেছেন। আর একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫০টি। সর্বোচ্চ দিনাজপুর বোর্ডে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি।

ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মোট জিপিএ-৫ ধারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। এর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৯৫ হাজার ৭২১ জন আর ছাত্রের সংখ্যা ৮০ হাজার ৫৬১ জন।

প্রকাশিত ফলে পাসের হারের দিক থেকে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে প্রথম স্থানে আছে কুমিল্লা বোর্ড। এই বোর্ডে পাসের হার ৯০.০৭ শতাংশ আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৯১ জন। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৩.৯৫ শতাংশ। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭০৩ জন। ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৭.৮৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪১৬ জন।

রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮১.৬০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৫৫ জন। ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৮০.৩২। এই বোর্ডে ৫০২৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৮৬.৯৫ শতাংশ। জিপিএ-৭ হাজার ৩৮৬ জন। চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৮০.৫০। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৭০ জন। সিলেট বিভাগে পাসের হার ৮১.৪০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭১।

দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ০৮ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৩০ জন শিক্ষার্থী। মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৪২৩ জন শিক্ষার্থী।

কারিগরি বোর্ডে পাস করেছেন ৯৪ দশমিক ৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী। এই বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ১০৪ জন।