৮৩ কিমি বেগে ঝড় বয়ে গেল রাজধানীতে

কয়েক দিনের তাপপ্রবাহে জনজীবন যখন কাহিল, তখন স্বস্তির বৃষ্টি এনে দিলো প্রকৃতি। তবে বৃষ্টির সঙ্গে তাণ্ডব চালিয়ে গেল কালবৈশাখী ঝড়।

আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন জানান, বুধবার (২১ এপ্রিল) রাত ১০টা থেকে প্রায় একঘণ্টার ঝড় ও পরে বৃষ্টিসহ ঝড় বয়ে গেছে রাজধানীতে। এ সময় ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ওঠেছিল ৮৩ কিলোমিটার, যা চলতি মৌসুমে ঢাকায় সর্বোচ্চ গতিসম্পন্ন ঝড়।

তিনি বলেন, রাজধানী ছাড়াও ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, কুষ্টিয়াতেও ঝড় হয়েছে। ঢাকার বাইরে রাত আটটার পরপর ঝড় হয়েছে।

দু’দিন বৃষ্টির পর তাপমাত্রা আবারো বাড়তে পারেও বলে জানান এ আবহাওয়াবিদ।

এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ অবস্থান করছে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত।

এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়াে হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে সীতাকুন্ড, রাঙামাটি, নােয়াখালী, ফেনী, মৌলভীবাজার, রাজশাহী এবং পাবনা অঞ্চলসহ ঢাকা, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে। তাপমাত্রা সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ সময় ঢাকায় পশ্চিম/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) নাগাদ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে এবং তাপমাত্রা বাড়তে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হবে।

বুধবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে ছিল। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন কেবল নিকলিতে ‘সামান্য’ বৃষ্টিপাত হয়েছে।