৮ পুলিশ কর্মকর্তা হচ্ছেন অতিরিক্ত আইজিপি

বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশে অতিরিক্ত আইজিপি (গ্রেড-২) পদে আটটি পদ শূন্য রয়েছে। এসব পদ পূরণে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) থেকে আট কর্মকর্তাকে দেওয়া হবে পদোন্নতি। পদোন্নতির জন্য পুলিশের ১২ ও ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিবেচনা করা হচ্ছে।

পুলিশ সদরদপ্তরের তথ্য বলছে, পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের তালিকা চূড়ান্ত করবে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)। সম্প্রতি এসএসবির বৈঠকে পদোন্নতির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই পদে কারা পদোন্নতি পাচ্ছেন- তা নিয়ে পুলিশ বিভাগে চলছে নানা গুঞ্জন। এই তালিকায় আলোচনায় রয়েছেন পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পদোন্নতির জন্য ১২ ও ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিবেচনা করা হচ্ছে। কর্মকর্তাদের নামের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।

এক্ষেত্রে ১২তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের প্রধান ডিআইজি ড. হাসান উল হায়দার, ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান ডিআইজি মোর্শেদুল আনোয়ার খান, ডিআইজি গোলাম কিবরিয়া এবং পুলিশ সদরদপ্তরের ডিআইজি আবু হাসান মুহম্মদ তারিক।

এছাড়া ১৫তম ব্যাচের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন- অতিরিক্ত আইজির চলতি দায়িত্বে থাকা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (বিএমপি) মো. শাহাবুদ্দিন খান, শিল্প পুলিশের প্রধান ডিআইজি মাহবুবুর রহমান, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিআইজি ওয়াই এম বেলালুর রহমান, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ, ডিআইজি এ এফ এম মাসুম রব্বানী এবং ডিআইজি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সাংগঠনিক কাঠামোর অভ্যন্তরীণ সংস্কারের মাধ্যমে ১৭৮টি পদের বিপরীতে পাঁচটি শর্তসাপেক্ষে বেতন গ্রেড নির্ধারণ হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর এতে সম্মতি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে ওই বছরের ১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে পদগুলো মঞ্জুর করে।

এর আগে মাঠপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নেতৃত্ব সুদৃঢ় করতে পুলিশের কাঠামোতে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পুলিশ। সেখানে অভ্যন্তরীণ সংস্কারের মাধ্যমে পুলিশের বিদ্যমান জনবল কাঠামোতে পরিবর্তন এনে নিম্নপর্যায়ের ক্যাডার পদের সংখ্যা কমিয়ে তার পরিবর্তে বাড়তি উচ্চপদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়।

সেখানে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সাংগঠনিক কাঠামোর অভ্যন্তরীণ সংস্কারের মাধ্যমে ২০টি এসপি ও ১৫৮টি এএসপি এবং ৪৮টি অ্যাডিশনাল এসপিসহ মোট ১৭৮টি পদ বিলুপ্ত করে চারটি অ্যাডিশনাল আইজি, ১৮টি ডিআইজি, ৮৮টি অ্যাডিশনাল ডিআইজি, ২০টি এসপি ও ৪৮টি অ্যাডিশনাল এসপিসহ মোট ১৭৮টি ক্যাডার পদের প্রস্তাবনা করা হয়।

পুলিশের ১৭৮টি নতুন পদের গ্রেড ও বেতন নির্ধারণ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পর সে সময় গ্রেডসহ বেশকিছু নিয়ম বেধে দেওয়া হয়। এতে অতিরিক্ত আইজিপির চারটি পদ হয় দ্বিতীয় গ্রেডে।

তবে শর্তে বলা হয়, ডিআইজি পদে তিন বছর এবং নবম গ্রেড বা তার ওপরের গ্রেডে ১৭ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এই পদে বেতন স্কেল সর্বনিম্ন ৬৬ হাজার থেকে এবং সর্বোচ্চ ৭৬ হাজার ৪৯০ টাকা।

এর আগে ২০২১ সালের ১৭ মে অতিরিক্ত আইজিপি, গ্রেড-২ পদে চারজন পদোন্নতি পান। তারা হলেন- এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের ডিআইজি মো. দিদার আহম্মদ, নৌ-পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম, পুলিশ সদরদপ্তরের ডিআইজি এম খুরশীদ হোসেন ও বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম।