নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকা থেকে দিলরুবা আক্তার সালমা (২৩) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার বিকেলে নতুন বাসস্ট্যান্ডের একটি বাস থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

দিলরুবা আক্তার সালমা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের গামছা খালী গ্রামের সোলাইমান মিয়ার মেয়ে এবং নোয়াখালী পুলিশ লাইনের কনস্টেবল তাজবিত হোসেন রাজিবের স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ বছর আগে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার বাসিন্দা ও নোয়াখালীর পুলিশ কনস্টেবল তাজবিত হোসেন রাজিবের সাথে হাতিয়া থানায় কর্মরত অবস্থায় হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের গামছা খালী গ্রামের সোলাইমান মিয়ার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী দিলরুবা আক্তার সালমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

একপর্যায়ে ২ জনের নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে হয়। পরে রাজিব বদলী হয়ে জেলা পুলিশ লাইনে এলে তারা মাইজদী নতুন বাস স্টেশনের কাছে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। এরই মাঝে তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তার বর্তমান বয়স ৪ বছর।

নিহতের ভাই হাছান অভিযোগ করেন, রাজিব প্রতিনিয়ত তার বোনকে নির্যাতন করতো। রবিবার দুপুরে রাজিব তার বোনকে গলা টিপে ও বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করার পর তার বোন আত্মহত্যা করেছে বলে সে অভিযোগ করে।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

তিনি আরো জানান, এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বলা যাবে।