বিপিএল থেকে সরে দাঁড়াল চিটাগাং ভাইকিংস
এমনিতেই জাতীয় নির্বাচনের কারণে বিপিএল পিছিয়ে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে চলে গেছে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। প্রাথমিকভাবে ৫ জানুয়ারি শুরুর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বিপিএল শুরু করা যাবে কি-না তা নিয়ে সংশয়-সন্দেহ রয়েই গেছে। এর সাথে যোগ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ বিগ ব্যাশের সময়সূচির সংঘর্ষ।
বিপিএল ও বিগ ব্যাশ একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে বিপিএলে তারকা ক্রিকেটার কমে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে আবার উদ্ভব ঘটেছে নতুন সমস্যা। এ বছর বিপিএলে দল চালাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে চিটাগাং ভাইকিংসের ফ্র্যাঞ্চাইজি ডিবিএল গ্রুপ। তারা এমন এক সময়ে দল চালাতে অনীহা প্রকাশ করেছে যখন নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি পাওয়া কঠিন, প্রায় অসম্ভব।
চট্টগ্রামের মেয়র এবং চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষ নেতা আ জ ম নাসির এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক চট্টলার কৃতি সন্তান আকরাম খান মিলে দল চালানোর একটা কথা ছিল। কিন্তু যতদূর জানা গেছে তারাও এবার দল পরিচালনার দায়িত্ব নিতে অনিচ্ছুক।
সেপ্টেম্বর ৩০ তারিখ ছিল গত মৌসুম থেকে ধরে রাখা খেলোয়াড়দের নাম জমা দেয়ার শেষ দিন। কিন্তু শেষ তারিখেও নিজেদের এই তালিকা জমা দেয়নি চিটাগাং ভাইকিংস কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে খোঁজ নেয়া হলে বন্দর নগরীর দলটি জানিয়েছে তারা বিপিএলের আসন্ন মৌসুমে খেলতে পারবে না। এ খবরটি নিশ্চিত করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
(সোমবার) সন্ধ্যায় মুঠোফোনে জালাল ইউনুস বলেন, ‘চিটাগাং ভাইকিংস আসন্ন বিপিএল থেকে নিজেদের নাম সরিয়ে নিয়েছে। বিসিবিতে আনুষ্ঠানিক মেইল বার্তায় নিজেদের অপারগতার খবর জানিয়েছে তারা।’
এমনিতেই নেই বরিশাল, এবার সরে দাঁড়ালো চিটাগাং। তাহলে বিপিএলের ভবিষ্যৎ কি? কিভাবে পূরণ করা হবে এ শূন্যস্থান? এমন প্রশ্নের জবাবে জালাল ইউনুস বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। আমরা গভর্নিং কাউন্সিলের মিটিংয়ে বসবো। আলাপ-আলোচনার পরেই এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।’
সেক্ষেত্রে দল সংখ্যা কমে যেতে পারে এবারের বিপিএলে। সাতটির বদলে ফ্র্যাঞ্চাইজি সংকটের কারণে দল সংখ্যা কমে ছয়ে নেমে আসতে পারে। তবে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ সোহেল একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে জানান তিনি ইতোমধ্যেই ডিবিএল গ্রুপকে এবারের মতো আয়োজনের অনুরোধ করেছেন। তবে গ্রুপের চেয়ারম্যান বিদেশে থাকায় কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়নি।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ডিবিএল গ্রুপ শেষপর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি হতে আগ্রহ প্রকাশ না করলে এবার বিপিএলে চিটাগাং ভাইকিংস বা বন্দর নগরীর কোনো দল থাকবে না। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিভাগ ও ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ নান্নু, আকরাম, নাফিস, আফতাব, তামিমের জন্মস্থান চট্টগ্রামের বিপিএলে কোনো প্রতিনিধিত্ব থাকবে না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন