বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্যে রেকর্ড করেছে : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্যে রেকর্ড করেছে। মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিতে মনোনয়ন রয়েছে ৫৫৫ জনের। ধরুন, ৩০০ জন আছে। এর মধ্যে ঐক্যফ্রন্ট আছে, ঐক্যফ্রন্টের শরিকরা আছে। সবাই কি বিএনপি? ধরুন— ৩০০ জন প্রার্থী, তাহলে ৪৫৫ জন কোত্থেকে এলো? আমরা তো বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছি এবং গুঞ্জন ছড়িয়ে গেছে, ডালপালা বিস্তার করেছে— বিএনপি এবার মনোনয়ন বাণিজ্যে রেকর্ড করেছে। এই যে সব বাদ যাওয়া প্রার্থী ঋণ খেলাপি ও দণ্ডিত। ১৪১ জন প্রার্থী বাদ যাওয়ার পরও এখনও ৫৫৫ জনের নাম রয়ে গেছে বৈধ। এটা কি মনোনয়ন বাণিজ্য নয়? কোনও কোনও শীর্ষ নেতা ঢাকা থেকে পালিয়ে গেছে। যাদের টাকা নিয়ে পালিয়েছে, তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ধরণা দিচ্ছে।’
বিএনপি আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে অভিযোগ করে কাদের আরও বলেন, ‘১০ তারিখের আগে ক্যাম্পেইন করা যাবে না। তাদের শীর্ষ নেতারা প্রতিনিয়ত আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। মনোনয়ন বাণিজ্যের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে, এরকম খবরও কিন্তু আমরা পেয়েছি।’
বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করে সরকার পুতুল নাচের খেলায় মেতেছে, এমন অভিযোগের জবাবে কাদের বলেন, ‘তাদের মনোনয়ন প্রক্রিয়াই একটা পুতুল নাচের খেলা। সরকার কেন করবে, নির্বাচন কমিশন কি সরকার? নির্বাচন কমিশন স্বাধীন কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পুতুল নাচের খেলা— যেমনই নাচে তেমনই নাচাও, পুতুলের কি দোষ? দড়ি টানছে লন্ডন থেকে, ছাড়ছে আর ধরছে। কামাল হোসেন সাহেব তো নামমাত্র নেতা। অনেক দুঃখে হয়তো নির্বাচন করছে না। নেতাও নেই মাথাও নেই। এই দলকে কে ভোট দেবে? মানুষ জিজ্ঞেস করছে— আপনাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবে? কী জবাব দেবেন মির্জা ফখরুল? আজ পর্যন্ত এই প্রশ্নের জবাব দেননি। পৃথিবীর সব গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের নির্বাচনের সময় প্রত্যেক দলের একজন নেতা থাকে, পিএম ফেস থাকে। তাদের কোনও পিএম ফেস নাই।’
বিএনপির আচরণবিধি লঙ্ঘন সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে আমরা ইতোমধ্যে জানিয়েছি। সেখানে জিজ্ঞাসা করুন যে, তাদের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ গিয়েছে। এখন তো ১০ তারিখের আগে পথসভা করতে পারে না। কিন্তু তাদের দুই-একজন শীর্ষ নেতা প্রতিনিয়ত আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে।’
বিএনপির অভিযোগ— ‘নির্বাচন কমিশন সৎ মায়ের ভূমিকা পালন করছে, সরকার কোনও সহযোগিতা করছে না’, এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাদের বলেন, ‘এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এখানে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। যখন নির্বাচন কমিশন তাদের সঙ্গে নেই, তখন নির্বাচন কমিশন তো সৎ মা হয়ে যাবে। তাদের পক্ষে না থাকলে সব কিছুই উল্টা। তাদেরকে যদি নির্বাচন কমিশন গ্যারান্টি দিতে পারে— আগামী নির্বাচনে তারা জয়ী হবে। তাহলে কমিশন তাদের কাছে নিরপেক্ষ মনে হবে। তখন সৎ মা থেকে আপন মা হয়ে যাবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. দিপু মণি, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিৎ রায় নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন