ধর্ম না বদলে হজে যাব : নুসরাতের উদ্দেশে মুকুল রায়

হিন্দু রীতিতে নিখিল জৈনকে বিয়ে করে সমালোচিত হয়েছেন টালিউড অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।

এর পর সিঁদুর লাগিয়ে, মঙ্গলসূত্র পড়ে ভারতের পার্লামেন্টে যাওয়ায় তাকে নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে ওঠে।

বিষয়টি ইসলাম ধর্মে অগ্রহণযোগ্য বলে ফতোয়া জারি করেন দেববন্দের ইমাম। অবশ্য এসব সমালোচনা ও দেওবন্দী ইমামের ফতোয়ার কিছুই ধার ধারছেন না নুসরাত।

নিভিল জৈনের সঙ্গে ইস্তাম্বুলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে কলকাতায় এসে একের পর বির্তকিত কর্ম-কাণ্ড করেই যাচ্ছেন তিনি। তাও আবার ধর্মীয় আবেগ নিয়ে।

সেই ধারবাহিকতায় এবার বৃহস্পতিবার মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে ইস্কনের রথের রশি টানার হ্দিু ধর্মীয় রীতি পালন করেছেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত।

তবে এবার রথযাত্রায় নুসরাতের উপস্থিতি নিয়ে মুসলমান নয় প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

তৃণমূল কংগ্রেসের এই সাবেক নেতার অভিযোগ, হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন মমতা ব্যানার্জি।

এ নিয়ে নিজের যুক্তি দেখান মুকুল।

শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মুকুল রায় বলেন, নুসরাতকে নিয়ে গিয়ে রথের দড়ি টানিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। কারও ধর্মকে আঘাত করতে চাই না। কিন্তু মমতা ব্যানার্জির কাছে আমার একটা প্রশ্ন আছে।

মুকুল রায়ের সেই প্রশ্নটি হলো, আমি আমার ধর্মীয় অবস্থানকে না পাল্টে হজে যেতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী ব্যবস্থা করুন।

অর্থাৎ তিনি হিন্দু ধর্মের অনুসারী হয়ে হজ করতে মক্কা যেতে চান, সেটা সম্ভব কি না জিজ্ঞেস করেছেন তিনি।

বস্তুত জবাবটা তার ভালোই জানা। তবে তিনি বোঝাতে চাইছেন, মুসলমান ঘরের মেয়ে হয়ে হিন্দু ধর্মীয় রীতিনীতি কিভাবে মানছেন নুসরাত। এক ধর্মের অনুসারী হয়ে অন্য ধর্মের রীতিনীতি পালন করা অনুচিত ও অগ্রহণীয় বিষয়টাই জানান মুকুল রায়।

বলতে গেলে দেববন্দি ইমামের মতকে অন্যভাগে প্রকাশ করলেন মুকুল রায়।

মুকুল রায়ের এমন তীর্যক বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বিষয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জবাবে নুসরাত বলেন, এই ধরনের বিষয়ে আমি মাথা ঘামাতে চাই না। আমার ধর্ম জানি। জন্ম থেকে আমি মুসলিম। এখনও তাই। এটা বিশ্বাসের ব্যাপার। হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হবে। ধর্মে এতো যুক্তি খুঁজলে হবে না।

প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার ইস্কনের রথে আমন্ত্রিত নুসরাত মঙ্গলসূত্র, সিঁদুর ও চুড়ি পরে একেবারে নববধূর সাজে এসেছিলেন। রথযাত্রার আগে তিনি হিন্দু রীতি অনুযায়ী নারিকেল ফাটানো থেকে শুরু করে আমের পাতা দিয়ে চন্দনের পানি ছেঁটানোর রীতিও পালন করেন নুসরাত।