নিজস্ব বলয় শক্তিশালী করতে নিজের লোক দিয়ে কমিটি করবেন না : ওবায়দুল কাদের
সারাদেশের সকল পর্যায়ের কমিটিতে নিজস্ব বলয় শক্তিশালী করতে নিজের লোক দিয়ে কমিটি না করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘ত্যাগী কর্মীদের দূরে সরিয়ে না রেখে কাছে টেনে নিতে হবে। তাদের রাজনীতির পথ মসৃণ করতে হবে। কারণ তারাই দুঃসময়ে দলের পাশে থাকবে। নিজস্ব বলয় শক্তিশালী করতে নিজের লোক দিয়ে কমিটি করবেন না।’
ওবায়দুল কাদের শনিবার মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবন থেকে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বর্ধিত সভায় যুক্ত হন কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের জন্য তৃনমূল থেকে ডেডিকেটেড (নিবেদিত) কর্মীদের তুলে আনতে হবে। দলকে শক্তিশালী করতে হলে নিবেদিত প্রাণের কর্মীদের এগিয়ে আনতে হবে। ধর্ষকের মতো নরপশুদের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা চিরতরে বন্ধ। মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, চিহ্নিত অপরাধী, চাঁদাবাজ, ভূমি দখলকারী, নারী অবমাননাকারী এবং নারী ধর্ষণকারী ব্যক্তিদের বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
একটি শক্তিশালী এবং গণমুখী সংগঠনের জন্য সাংগঠনিক ঐক্যের বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংগঠনের মজবুত জনভিত্তি তৈরি করতে হলে থাকতে হবে ঐক্যবদ্ধ। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, মাদকসেবী ও চিহ্নিত অপরাধীদের বিষয়ে আগে থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ’
৭ নভেম্বরের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জেনারেল জিয়াউর রহমান সরাসরি বেনিফিশিয়ারি ছিলেন। বিপ্লব ও সংহতির মোড়কে সেদিন ষড়যন্ত্র করে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিলেন জেনারেল জিয়া।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মহান অর্জন ও চেতনাকে ভূলন্ঠিত করতে এবং দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে অনেক ঘটনাই ঘটেছিলো যার মধ্যে অনেক কিছুই এখনো ইতিহাসের আড়ালে রয়ে গেছে। ইতিহাসের এসব অজানা তথ্য তদন্তের মাধ্যমে বের করে আনা এখন সময়ের দাবি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অপরাধীদের প্রশয় দেয় না। দলীয় পরিচয়েও কেউ রক্ষা পান না। আওয়ামী লীগের শেকড় এদেশের মাটির অনেক গভীরে। দেশের জনগণই আওয়ামী লীগের অস্তিত্বের শেকড়। জনগণ আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার কারনে বিএনপি এখন অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। বিএনপির রাজনীতি এখন লাইফ সাপোর্টে আছে, আওয়ামী লীগ নয়।
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহেদ মালেক, সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয় ও মমতাজ বেগম, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
তথ্য সূত্র: বাসস
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন