কক্সবাজারে পুলিশি অভিযানে ৪টি কটেজে যৌনকর্মী-খদ্দেরসহ আটক ৫২
পর্যটন নগরী কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনে পর্যটন ব্যবসার আড়ালে সক্রিয় রয়েছে অপরাধী চক্র। তারকা মানের কতিপয় হোটেল, অ্যাপার্টম্যান্ট ও কলাতলী সাংস্কৃতির কেন্দ্রর সামনে অবস্থিত কটেজে প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা চলে আসছে। এসব বন্ধে শুক্রবার বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কটেজ জোনে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস ও পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে’র নেতৃত্বে ৪টি কটেজে অভিযান চালানো হয়েছে।
অভিযানে কটেজের ম্যানেজার,কর্মচারী, যৌনকর্মী ও খদ্দেরসহ ৫২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ৫২ জনের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ৩৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, গত অর্ধমাস ধরে হোটেল মোটেল জোনে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নজরদারিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়। যার ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেল থেকে ৪টি কটেজে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে লাইট হাউজ স্বরণ এলাকার আমির ড্রিম প্যালেজ থেকে একজন কর্মচারী, সাতজন খদ্দের ও দুইজন যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। মিম রিসোর্ট থেকে একজন কর্মচারী, ১২ জন খদ্দের ও ১৭ জন যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। এ ছাড়া আজিজ গেস্ট ইন থেকে ১০ জন খদ্দের ও দুই যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। এখান থেকে ৩৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে একটি কটেজ থেকে গোপন পথ দিয়ে সবাই পালিয়ে যায়।
অভিযান প্রসঙ্গে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মককর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, ‘হোটেল-মোটেল জোনে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। প্রতিদিন এভাবে ঝটিকা অভিযান চলবে। অভিযানে আটক সকলের বিরুদ্ধে মাদক পাচার আইনের মামলা রুজু করা হবে। মামলায় কটেজ মালিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পর্যটন শহরের মাদক, জুয়া, চুরি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অচিরেই পর্যটন শহরকে সব ধরনের অপরাধমুক্ত করা হবে। এ ছাড়া যানজট পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রাখা হবে। এজন্য কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশ। কোনো অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন