ইবি ছাত্রলীগের ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন অভিযান

তখন সময়টা রাত আটটা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষার্থীদের আড্ডায় ভরপুর হয়ে থাকে। কিন্তু আজকে পরিবেশটা একটু ভিন্ন মনে হচ্ছে! স্বভাবত যত সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকার কথা, তার থেকে অনেক বেশি শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। হল থেকে নামার সময় একটা শব্দ কানে আসলো প্রোগ্রাম আছে। কিন্তু কার প্রোগ্রাম, কিসের প্রোগ্রাম তখনও বুঝতে পারি নাই। জিয়া মোড়ে যাওয়ার পর অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে দেখে আন্দাজ করতে পারি, প্রোগ্রামটি ছাত্রলীগের।

উপস্থিত একদল শিক্ষার্থী রওনা দিল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি’র পাশ দিয়ে আম্রকাননের দিকে। যাওয়ার সময় সবাই হাতে নিজ নিজ গ্লাভস্ পড়ে নিচ্ছে। নেতৃত্বে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়। এসময় তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আম্রকাননের মেলা প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করতে দেখা যায়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ”ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান” কর্মসূচি পালন করছে ইবি শাখা ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আম্রকাননের মেলা প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের নির্দেশনায় ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ”স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ” এর অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালন করে ইবি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

জানা যায়,রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ১৪০-১৫০ জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের আম্রকাননে উপস্থিত হয়। সেখানে ৭ দিনব্যাপী অমুর একুশে বইমেলা চলছে। মেলার প্রায় চারদিন অতিবাহিত হওয়ায় প্রাঙ্গণটি অপরিচ্ছন্ন হয়ে আছে। তাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মেলা প্রাঙ্গণ পরিষ্কারের উদ্যোগ নেন। এসময় তারা মাঠের মধ্যে পড়ে থাকা ময়লা, পরিত্যক্ত খাবারের প্যাকেট, পলিথিন, কাগজ সহ সকল আবর্জনা পরিষ্কার করে
ময়লার স্তুপগুলো অন্যস্থানে সরিয়ে নেন।

ছাত্রলীগ কর্মী কামাল বলেন, এ কাজটা ছাত্রলীগের ভালোর কাজের একটা প্রাথমিক দিক। আমরা চাই শিক্ষার্থীদের জন্য, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার জন্য এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের জন্য ছাত্রলীগ সবসময় পাশে থাকবে।

আরেক ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, এ মহৎ কাজে অংশ নিতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি। ছাত্রলীগ সবসময় ভালো কাজের নেতৃত্বে দেয় এবং দেবে।

এ বিষয়ে ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, আমরা লক্ষ করেছি যে, মেলার তিনদিন অতিবাহিত হওয়ায় মেলার মাঠটি ময়লা-আবর্জনায় অপরিচ্ছন্ন হয়ে আছে। তাই আমরা নিজেরা উদ্যোগী হয়ে মেলার মাঠটি পরিষ্কার করেছি। এ কাজটি আমি অনন্য কাজ হিসেবে মনে করি। এ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সবসময় শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার জন্য পাশে ছিল এবং থাকবে।

এর আগেও “স্মার্ট ক্যাম্পাস রূপদান” করতে গত ২২ জানুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট মাঠ পরিষ্কারের মধ্য দিয়ে এ পরিচ্ছন্ন অভিযান পালন করেন তারা।