কলম্বিয়া-আর্জেন্টিনার ফাইনাল গড়াল অতিরিক্ত সময়ে

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় হলো না কোনো গোল। এতে অতিরিক্ত সময়ে গড়াল কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসরের ফাইনাল। মিয়ামির হার্ডরক স্টেডিয়ামে আজ সোমবার সকালে ফাইনাল মহারণ শুরুর আগেই ছড়ায় উত্তাপ। তবে সেটা স্টেডিয়াম গেটের বাইরে। টিকিটবিহীন দর্শকদের হাঙ্গামার কারণে ম্যাচ ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট দেরিতে শুরু হয়। বিশৃঙ্খলা করে কলম্বিয়ান সমর্থকরা। বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দেরিতে ৭টা ২০ মিনিটে খেলা শুরু হয়।

ম্যাচের শুরু থেকে আর্জেন্টিনাকে চাপে রাখে হামেস রদ্রিগেজের কলম্বিয়া। বল দখল থেকে শুরু করে আক্রমণ সবদিকে এগিয়ে ছিল রদ্রিগেজের দল। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মন্টিয়েলের ক্রস থেকে পা ছোঁয়ালেও তা লক্ষ্যে রাখতে পারেননি আলভারেজ। ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় কলম্বিয়া। লুইস ডিয়াজের গড়ানো শট ঠেকিয়ে দলকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। পরের মিনিটেই রদ্রিগেজের বাড়নো বলে করডোভা শট করলে তার বারের ঠিক পাশ দিয়ে চলে যায়। যার ফলে এবারও হতাশ হতে হয় কলম্বিয়াকে। ১৩তম মিনিটে আবারও আক্রমণে যায় কলম্বিয়া। এবার রদ্রিগেজের বাড়ানো বলে কুয়েস্টা হেড করলে তা সহজে তালুবন্দী করেন মার্টিনেজ। ৩৩তম মিনিটে দারুন এক শট করেন লারমা। তবে মার্টিনেজের হাতে লেগে বল মাঠের বাহিরে চলে যায়। বাকি সময়ে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারায় গোলশূণ্য বিরতিতে যেতে হয় দুদলকে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে দুদলই লড়াই করছে সমানে-সমান। ৪৮ মিনিটের মাথায় কলম্বিয়র অল্পের জন্য গোলের সুযোগ নষ্ট করে। জোন কর্দোবার হেড পাসে বল পাওয়া সান্তিয়াগো আরিয়াসের ডান পায়ের শট পোস্টের সামান্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরই আর্জেন্টিনার সাম্বে আসে সুযোগ। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের পাসে বল পাওয়া অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার বাঁ-পায়ের শট প্রতিহত করেন গোলরক্ষক ক্যামিলো ভার্গাস। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা খেলার ৫৪ মিনিটে কর্দোবার হেড পাসে ছয় গজ দূর থেকে হেড নেন ডেভিনসন সানচেজ। বল পোস্টের সামান্য উপর দিয়ে যাওয়ায় লিড পায়নি কলম্বিয়া। চার মিনিট পর ডি মারিয়ার শট ভার্গাস প্রতিহত করেন।

 

খেলার ৭৫ মিনিটে ডিফেন্ডার নিকোলাস তাগলিয়াফিকো লক্ষ্যভেদ করলেও লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তোলেন। ওই সময় বাঁ-প্রান্তে এনজো ফের্নান্দেজ অফসাইড পজিশনে ছিলেন। রেফারি ভিএআরের শরণাপন্ন হয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হলে আর্জেন্টিনার হতাশা বাড়ে। ডি বক্সের ভেতর ৮৮ মিনিটে ডি মারিয়ার হেডে অল্পের জন্য বল জালে জড়াতে পারেননি নিকোলাস গঞ্জালেস। তাতে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়।