৯৫ ভাগ দেশ স্বাধীন হলেও ৫ ভাগ এখনও বাকী : সাইফুল আলম নীরব

বাংলাদেশকে নিয়ে চক্রান্ত চলছে, ষড়যন্ত্র চলছে, এখনও চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি মন্তব্য করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক সাবেক যুবনেতা সাইফুল আলম নীরব বলেছেন, ছাত্রজনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতনের মাধ্যমে ৯৫ ভাগ দেশ স্বাধীন হয়েছে, ৫ ভাগ এখনও বাকী রয়েছে। এই ৫ ভাগের ভিতরে কখন কি ঘটে যায়? এ ব্যাপারে আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

তিনি বলেন,বাংলাদেশকে নিয়ে পাশ্ববর্তী একটি রাষ্ট্র সবসময় বিএনপির বিরুদ্ধে কাজ করে। যেহেতু সরকার গঠনের কাজ শেষ হয়নি। সরকার কি অবস্থায় হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়।

আওয়ামী সরকারের পতনের পর সারা দেশে দখল, লুটপাট ও চাদবাজী হচ্ছে প্রসংগ টেনে নীরব বলেন, এক শ্রেনীর লোক দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে এই ধরনের অপকর্ম করছে। জনগণকে সাথে নিয়ে সকল অপকর্ম বন্ধে কাজ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনস্থ ভাসানী ভবন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এক যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে সাইফুল আলম নীরব এ কথা বলেন।

আওয়ামী সরকারের পতনের পর দেশে লুটপাট, দখলবানিজ্য ও চাঁদাবাজির অপকর্মের প্রসংগ উল্লেখ করে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে আমিনুল হক বলেন, কোন প্রকার দখল বানিজ্য, লুটপাট ও চাঁদাবাজিতে নেতাকর্মীদের নূন্যতম অভিযোগ প্রমানিত হলে তাদের দল করার কোন যোগ্যতা থাকবে না।দল থেকে তাদের বহিস্কার করা হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা দখলদারি, চাঁদাবাজ ও লুটপাট করার কাজে অপচেষ্টা করছে, তারা কিন্তু দুষ্কৃতকারী, তারা বিএনপির লোক নয়, হয়তো বা তারা নব্য বিএনপি হয়েছে। তিনি বলেন, যারা লোকাল প্যানেল থেকে আওয়ামী লীগ করেছে, আপনাদের মতো হয়তো বা কোন ভাইদের সহযোগিতায় তারা এখন নব্য বিএনপি হয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক এর সঞ্চালনায় সভায়
মহানগর গত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, এজিএম শামসুল হক,মোয়াজ্জেম হোসেন মতি,আখতার হোসেন, মোস্তফা জামান,মহানগর সাবেক সদস্য হাজী মোঃ ইউসুফ, এবিএমএ রাজ্জাক,সোহেল রহমান, কাউন্সিলর আলী আকবর আলী, আলাউদ্দিন সরকার টিপু, তহিরুল ইসলাম তুহিন, হাফিজুর রহমান শুভ্র, মাহাবুব আলম মন্টু,আফতাব উদ্দিন জসিম, জাহাঙ্গীর মোল্লা, শ্রমিক দল মহানগর উত্তরের আহবায়ক শাহ আলম রাজা, সদস্য সচিব কামরুজ্জামান কামরুল,যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল, সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মেরাজ,স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক মহসীন সিদ্দিকী রনী,ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ,সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাসান রাজ, তেজগাঁও থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, কাফরুল থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আকরামুল হক, সাব্বির দেওয়ান জনি, মিরপুর থানা বিএনপির আহবায়ক হাজী আব্দুল মতিন সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহবায়ক মেতালেব হোসেন রতন,যুগ্ম আহবায়ক দেওয়ান মোঃ নাজিম উদ্দীন, তুরাগ থানা বিএনপির আহবায়ক আমানুল্লাহ ভূইয়া, উত্তরখান থানা বিএনপির আহবায়ক রফিকুল ইসলাম খান,যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম বেপারী, বিমানবন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলু, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এমএস আহমাদ আলী,ভাটারা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম মিয়া ও ৪০ নং ওয়ার্ড সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম হাতি, শেরে বাংলা নগর থানা বিএনপির যুগ্ম শাহজালাল সিকদার,খিলক্ষেত থানা বিএনপির আহবায়ক এসএম ফজলুল হক যুগ্ম আহবায়ক সিএম আনোয়ার হোসেন, রুপনগর থানা ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান মামুন, আদাবর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাদেক হোসেন স্বাধীন ও ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস,পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক কামাল হুসাইন খান যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ আলী গাজী, বাড্ডা থানা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাদের বাবু, রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নিলুফা ইয়াসমিন নীলু সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।