বিভাগ সংস্কারের দাবিতে ইবির সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সেশনজট নিরসন ও পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগসহ ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সমাজকল্যাণ বিভাগের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। শনিবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় তারা দাবি সম্বলিত বিভিন্ন ধরনের স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। পরে প্রশাসন ও বিভাগের শিক্ষকরা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- নির্দিষ্ট রুটিন প্রনয়ণ এবং প্রতিটি কোর্সের নূন্যতম ক্লাস নেওয়া, সেশনজট নিরসনে তিন মাসের মধ্যে প্রতিটি সেমিস্টার সম্পন্ন, আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে পূর্নাঙ্গ একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত অতিথি শিক্ষক দিয়ে ক্লাস নেওয়া, পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করা, সেমিনার লাইব্রেরী বরাদ্দ।

সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার আগে ইনকোর্স পরীক্ষা নিয়ে নম্বর প্রকাশ করা, বর্তমান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমকে সমাজকল্যাণ বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া, প্রতি বছর শিক্ষাসফরে বিভাগের অর্থায়ন থাকতে হবে এবং আন্দোলনের পরে কোনো শিক্ষার্থীর উপর যেন এর প্রভাব না পড়ে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা। এদিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের সকল সমস্যা সমাধান করা হবে মর্মে শিক্ষার্থীদের দেওয়া একটি পত্রে স্বাক্ষর করেন বিভাগের সভাপতি।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিভাগের শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষ না থাকার অযুহাতে ঠিকমতো ক্লাস নেয় না, পর্যাপ্ত ক্লাস না নিয়েই কোর্স সম্পন্ন করে, রেজাল্ট দিতে দেরি করে এবং এসব বিষয় নিয়ে কথা বললে শিক্ষার্থীদের নম্বর কমিয়ে দেন। তারা আরো বলেন, আমাদেরকে অনেক আশ্বাস দিয়েও প্রশাসন কথা রাখেনি।

আমরা আজ বাধ্য হয়েই মাঠে নেমেছি। আমাদের সাতটি ব্যাচের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র একটা ক্লাসরুম। এমনকি এই সাতটি ব্যাচের জন্য মাত্র তিনজন শিক্ষক রয়েছে। তাই আমরা সেশনজটের কবলে পড়ে ধুকছি। কিন্তু প্রশাসনের এ বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেই। আমরা অতিদ্রুত আমাদের সকল সমস্যার সমাধান চাই।

বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আসমা সাদিয়া রুনা বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীরা দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে পাবে। আশা করছি, খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা সকল সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবো।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আজ থেকেই তাদের সকল দাবি পূরণে কাজ শুরু হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব বিভাগের সকল সমস্যা সমাধান হবে।