টাঙ্গাইলে সাড়া জাগিয়েছে ‘ট্রেন স্কুল’
ট্রেন চলেছে, ট্রেন চলেছে/ট্রেনের বাড়ি কই?… কবি শামসুর রাহমানের কবিতার মতই টাঙ্গাইলের মধুপুর দিগরবাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেন স্কুল নয়, চলন্ত ট্রেন। ট্রেন থেকে নামছেন যাত্রীরা। কিন্তু এ যাত্রী সে যাত্রী নয়। কোমলমতি এ যাত্রীদের গন্তব্য আলোর পথে। এরা যেন অলোর দিশারী। বই, খাতা ও কলম হাতে দেশের ভবিষ্যতের দিকে রওনা হয়েছে এ যাত্রীরা। ঠিক ট্রেনের আদলে রং করা হয়েছে তাদের এ জ্ঞানালয়। এ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এখন জেলার ‘ট্রেন স্কুল।’
বিদ্যালয়ের স্লিপ অনুদানের টাকায় করা হয়েছে এমন শৈল্পিক আয়োজন। প্রধান শিক্ষক তারেকুল ইসলাম নিজ হাতে রেল গাড়ির মত করেছেন বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের দেয়াল।
দিগরবাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী- শিক্ষরা বলেন, বিদ্যালয়টি ট্রেনের মত করে রং করায় পুরো উপজেলাজুড়ে সাড়া জাগিয়েছে। নজর কেড়েছে সকলের। অনেকেই দিগরবাইদে আসেন বিদ্যালয়টি দেখতে। বিদ্যালয়টি দেখে মুগ্ধ হয়ে ফিরেন তারা।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মোখছিদুল আলম রাফি বলে, আমাদের এ ট্রেন স্কুলে পড়াশুনা করতে খুব ভালো লাগে।
দর্শনার্থী রূপালী আক্তার ও আব্দুস ছামাদ বলেন, বিদ্যালয়টি দেখে খুব ভালো লেগেছে এবং মুগ্ধ হয়েছি।
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক রোকসানা খাতুন বলেন, আমাদের প্রধান শিক্ষক তারেকুল ইসলাম অনেক যত্ন করে দেয়ালে রং করেছেন। যার জন্য এলাকাবাসীসহ অনেকেরই প্রশংসা পাওয়া যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তারেকুল ইসলাম বলেন, কবি শামসুর রাহমানের বিখ্যাত কবিতা ট্রেন এর বাস্তব চিত্র শিক্ষার্থীদের বুঝানোর জন্যই আমি বিদ্যালয়টি ট্রেনের মত করে রং করেছি। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে করে মজা পেয়ে লেখা-পড়ায় মনযোগী হতে পারে সেই চিন্তা থেকেই বিদ্যালয়টি ট্রেনের মত আকর্ষণীয় করে সাজানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা বিভাগ, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ.এইচ.এম রেজাউল করিম বলেন, আমাদের বিদ্যালয় আমরা গড়ব স্লোগানে বিদ্যালয় আকর্ষণীয় করে সাজাতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ওই বিদ্যালয়টি রং করে ট্রেনের আদলে করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন