তিনি বলেন, ‘শনিবার রাতে ওই মেয়েটি ভুল বুঝতে পেরে তুরাগ থানার মামলাটি তুলে নিয়েছে। মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করতে টাঙ্গাইলের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ খান পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে ফোর্স করে এ কাজ করিয়েছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত আছেন একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রভাবশালী সাংবাদিক।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার রাতে জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বর থেকে কল পেয়ে তুরাগ থানায় প্রিয়াংকা সিটি আবাসিক এলাকায় বড় মনিরের ফ্ল্যাট থেকে ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তবে বড় মনির ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তরুণীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, তাঁকে জোর করে ওই বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
এর আগে টাঙ্গাইল সদর থানায় ২০২৩ সালে করা মামলার এজাহারে বড় মনির ধর্ষণের কারণে এশা মির্জা অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে বর্ণনা করা হয়। ওই মামলায় তিনি কারাগারে গিয়ে পরে জামিন পান।
গত ৩০ জুন এশা মির্জা পুত্রসন্তানের জন্ম দিলে আদালতের নির্দেশে শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার প্রতিবেদনে জন্ম নেওয়া ওই শিশুটির জৈবিক (বায়োলজিক্যাল) পিতা গোলাম কিবরিয়া নন বলে উল্লেখ করা হয়। গত ১৮ নভেম্বর ওই ধর্ষণ মামলার বাদী এশা মির্জার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।