লিখিত অভিযোগে কিশোরীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে পরিবারের সদস্যদের কথা অমান্য করে উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করত ও কেউ কিছু বললেই তার সঙ্গে উত্তেজিত আচরণ করত। সে কোরিয়ান ব্যান্ড দল বিটিএস-এর ভক্ত ছিল। নিজ রুমে বিটিএস সদস্যদের ছবি টানিয়ে রাখত।
বাসায় কারো সঙ্গে ঝগড়া হলেই বলত সে কোরিয়া চলে যাবে। ২১ জানুয়ারি রাত ২টার দিকে নগদ ৫ হাজার টাকা ও ১৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে সে পালিয়ে যায়। খোঁজাখুঁজির পরেও তার সন্ধান পাইনি।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় তার ফেসবুক আইডি থেকে আমার ভাতিজিকে জানায় সে বিটিএস গ্রুপের সঙ্গে আছে এবং দ্রুতই কোরিয়া গিয়ে বিটিএস দলের সঙ্গে যোগ দেবে।
এছাড়া তার ফেসবুকে বিটিএসের মতো নাচগানের অসংখ্য ভিডিও আপলোড করতে দেখা গেছে। এমন অবস্থায় সে পরিবারের অনুমতি ছাড়াই কোরিয়া চলে যেতে পারে এবং যেকোনো সময় নিজের বড় ধরনের ক্ষতি করে ফেলতে পারে।
কিশোরীর বাবা বলেন, আমার মেয়ের এখনো কোনো খোঁজ পাইনি। থানায় অভিযোগ দিয়ে এসেছি। উনারা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ধার করলে হয়তো মেয়েকে ফিরে পারব।
বিটিএস গ্রুপের নামে কোনো অসামাজিক গ্রুপে জড়িয়ে গেল কিনা সেই চিন্তায় আছি আমরা।
এই বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বলেন, থানায় অভিযোগ দিয়েছে শুনেছি। তবে একই সময়ে একটি মার্ডার মামলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় আমি বিস্তারিত খোঁজ নিতে পারিনি। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।