এবার রোহিঙ্গাদের রক্ষায় ছুটে আসছে ‘নবজীবনের ফিনিক্স’!

এবার রাখাইনের সেনা অভিযান থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ সীমান্তে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সহায়তায় এগিয়ে আসছে দ্য ফিনিক্স নামের উদ্ধারকারী জাহাজ। ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পাড়ি দেওয়া অভিবাসীদের উদ্ধারে নিয়োজিত দ্য মাইগ্র্যান্ট অফশোর এইড স্টেশন নামের সংস্থার পক্ষ থেকে জাহাজটি পাঠানো হয়েছে। গ্রিক পুরাণে বর্ণিত ফিনিক্স নামের এক ‘অগ্নিপাখি’র জীবনচক্র আবর্তিত হয় হাজার বছর ধরে। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী, ঈশ্বরের প্রতিনিধি প্রাণ কাড়তে আসলেই ফিনিক্স নিজের বাসা নিজেই আগুন জ্বালিয়ে সেখান থেকেই আবার পুনর্জন্ম নিত।

এবার যেন মৃত্যুপথযাত্রী রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে সেই নবজীবন দিতে মিয়ানমার সীমান্তে আসছে তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দ্য ফিনিক্স নামের উদ্ধারকারী জাহাজের মাধ্যমে এতদিন সংস্থাটি অন্তত ৪০ হাজার অভিবাসীকে সাগর থেকে উদ্ধার করেছে।

‘দ্য মাইগ্র্যান্ট অফশোর এইড স্টেশন’, ২০১৪ থেকে ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে অভিবাসীদের উদ্ধারের কাজ করে আসছে, এবার তারা তাদের কাজের স্থান পরিবর্তন করতে চলেছে।এতদিন তারা মূলত লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পাড়ি দেয়া অভিবাসীদের বাঁচাতে কাজ করে এসেছে। মাল্টা থেকে সংস্থাটি তাদের উদ্ধারকারী জাহাজকে পাঠাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। উদ্দেশ্য মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের বাঁচানো।

গত মাস থেকে আবারো মিয়ানমার সরকার রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিম গোষ্ঠীর ওপর সেনা অভিযান শুরু করে। তার পরপরই পর গত দশদিনে জাতিসংঘের হিসেবে ৯০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এমন পরিসংখ্যানই সংগঠনটিকে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে এনেছে বলে জানানো হয়।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের উদ্ধারকারী জাহাজটির প্রায় তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগবে মিয়ানমারের কাছে পৌছতে। আর সেখান গিয়ে তারা রোহিঙ্গা গোষ্ঠীকে যতদূর সম্ভব মানবিক সহায়তা ও প্রয়োজনীয় সাহায্য দিতে চায়। একইসাথে তাদের জন্যে অঞ্চলটিতে স্বচ্ছতা, সমর্থন ও জবাবদিহিতার একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরিতেও ভূমিকা রাখতে চায়।