কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আইয়ুব বাচ্চু, শ্রদ্ধা নিবেদন

বাংলা ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়েছে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাচ্চুর মরদেহ আনার পরপরই সেখানে উপস্থিত হন পরিবারের সদস্য, বন্ধু ও দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারা। গত রাতে মরহুমের লাশ রাখা ছিল স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে।

শ্রদ্ধা জানানোর পর শিল্পীর মরদেহ জাতীয় ঈদগাহ মাঠে বাদ জুমা জানাজার জন্য আনা হবে।

আইয়ুব বাচ্চু বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন তিনি।

হৃদরোগের কারণে আইয়ুব বাচ্চু গত কয়েক বছর বারবারই হাসপাতালে এসেছেন চিকিৎসার জন্য। ২০০৯ সালে তাঁর হার্টে রিং পরানো হয়। দুই সপ্তাহ আগে শেষ তিনি স্কয়ার হাসপাতালে এসেছিলেন।

শিল্পীর ছেলে ও মেয়ে দেশের বাইরে থেকে ঢাকায় ফিরে এলে চট্টগ্রামে মায়ের পাশে দাফন করা হবে আইয়ুব বাচ্চুকে।

জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক। ১৯৭৮ সালে তাঁর যাত্রা শুরু হয় ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে। এরপর ১০ বছর সোলস ব্যান্ডে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন তিনি। আশির দশকে একাধিক একক অ্যালবাম বেরোলেও নব্বইয়ের দশকে ‘ডাবল অ্যালবাম’ দিয়ে এলআরবির যাত্রা শুরু হয়। তখন ব্যান্ডটির নাম ছিল ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’। পরে ব্যান্ডের নাম পাল্টে রাখা হয় ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড’।

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। ‘চলো বদলে যাই’, ‘ফেরারি মন’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘হকার’, ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি’, ‘বাংলাদেশ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা তিনি। সংগীতজগতে তিনি এবি নামে পরিচিত হলেও তাঁর ডাকনাম ছিল রবিন। এ নামেও তিনি নব্বইয়ের দশকে একক অ্যালবাম বের করেন।