জোর করে মেয়ের বিয়ে, ব্রিটেনে মায়ের কারাদণ্ড

ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রায় দ্বিগুণ বয়সের ছেলের সঙ্গে কিশোরী মেয়ের বিয়ে দেয়ায় ব্রিটেনে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড হল এক নারীর।

আদালত জানিয়েছে, জোর করে বিয়ে দেওয়ার অপরাধে সাড়ে তিন বছর ও মেয়েকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয়ায় আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে।-খবর আনন্দবাজারপত্রিকা অনলাইনের।

বার্মিংহাম ক্রাউন কোর্ট জানায়, ২০১২ সালে মেয়েকে পাকিস্তানে নিয়ে যান বার্মিংহামের বাসিন্দা ওই মহিলা। সেই সময় ২৯ বছরের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেয়ায় মাত্র ১৩ বছর বয়সে সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ে মেয়েটি। ব্রিটেনে ফিরে এসে মেয়ের গর্ভপাত করান মা।

আদালত জানায়, ১৭ বছরের জন্মদিনে মেয়েকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ২০১৬ সালে ফের পাকিস্তানে নিয়ে যান ওই মহিলা। পাকিস্তানে গেলে মেয়েকে আইফোন কিনে দেয়ার লোভও দেখান সে। কিন্তু সে দেশে পৌঁছে বিয়ের পরিকল্পনার কথা শুনে বেঁকে বসে ওই কিশোরী।

অভিযোগ, মেয়েকে ভয় দেখাতে তাকে মারধর করা হয়। পাসপোর্ট পুড়িয়ে দেয়ার হুমকিও দেন মা। পরে জোর করে তাকে বিয়ের কাগজে সই করানো হয়।

বিচারক প্যাট্রিক থমাস বলেছেন, মেয়েটিকে একা, ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকে রাখা হয়েছিল। কী আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, ভাবা যায় না।

তার কথায়, ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন।

প্যাট্রিক জানান, মেয়েটি যেভাবে এগিয়ে এসে মায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে, তা এই পরিস্থিতিতে পড়া অন্যদের সাহস জোগাবে।

২০১৪ থেকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দিলে শাস্তির বিধান চালু হয়েছে ব্রিটেনে। যদিও শাস্তির ঘটনা নজিরবিহীন।