দুই শিক্ষক মিলে পিটিয়ে মেরেই ফেলল শিক্ষার্থীকে

নওগাঁর মান্দা উপজেলার দোসতি দাখিল মাদ্রাসায় দুই শিক্ষকের বেদম প্রহারে জয়নাল আবেদীন (১৪) নামে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

নিহত জয়নাল আবেদীন উপজেলার বৈলশিং পানাতাপাড়া গ্রামের জামিদুল ইসলাম সরদারের ছেলে।

এ ঘটনায় দোসতি দাখিল মাদ্রাসার সুপার বিন ইয়ামিনকে শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মারধরের পর থেকে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হারুন অর রশিদ ও আবদুর রাজ্জাক পলাতক রয়েছে।

নিহত জয়নালের বাবা জামিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার মাদ্রাসা চলাকালে উচ্ছৃঙ্খল আচরণের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক হারুন অর রশিদ ও আবদুর রাজ্জাক সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জয়নাল আবেদীন ও ফয়সাল হোসেনকে আম গাছের ডাল দিয়ে বেদম মারধর করে।

এসময় জয়নাল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তড়িঘড়ি একটি ভ্যানে করে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। বাড়িতে তার অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।

পরে মঙ্গলবার রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মারা যায় জয়নাল।

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম জানান, দোসতি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী জয়নাল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া পর বাবা-মাসহ স্বজনরা ময়না তদন্ত না করেই গোপনে লাশ বৃহস্পতিবার রাতেই বাড়ি নিয়ে আসে। গোপনে দাফনেরও চেষ্টা করে।

খবর পেয়ে জামিদুল সরদারের বাড়ি থেকে রাতেই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নিহত জয়নাল আবেদীনের লাশ নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর বাবা জামিদুল বাদি হয়ে মাদ্রাসা সুপার বিন ইয়ামিন, শিক্ষক হারুন অর রশিদ ও শিক্ষক আবদুর রাজ্জাককে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

তিনি জানান, মামলার পর মাদ্রাসা সুপার বিন ইয়ামিনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর দুই শিক্ষককে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।