নকলে বাধা, পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

ঢাকায় এক কলেজ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত শিক্ষক মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। তেজগাঁও কলেজের অর্নাস তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রের নাম হোসেল মিয়া। তবে, এই অভিযোগের সত্যতা নেই বলে দাবি করেছেন কলেজ শিক্ষক।

অভিযোগকারী জানান, শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজ কেন্দ্রে তিনি অর্নাস তৃতীয় বর্ষের হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। পরীক্ষার হলে অপর এক ছাত্রের কাছে নকল পান দায়িত্বরত শিক্ষক গাফ্ফার। তিনি তাকে বহিষ্কার করেন। এ সময় আমি সেই শিক্ষার্থীর খাতা ফিরিয়ে দিতে ওই শিক্ষকের কাছে সুপারিশ করি। এ জন্য আমাকরও খাতা আটকে রাখেন। কিছুক্ষণ পরে আমি জোর করে বেরিয়ে যাই। কিন্তু ওই শিক্ষক কলেজের পিয়ন ডেকে আমাকে ধরে এনে মারধর করেন। এতে আমার শরীরের বিভন্নস্থানে ক্ষত হয়েছে।

হোসেল মিয়া বলেন, আমি সহপাঠীর জন্য সুপারিশ করায় স্যার আমাকে মারধর করেছেন। আমার যদি অপরাধ থাকে তবে আমাকে পরীক্ষার হল থেকে বহিষ্কার করতে পারতেন, কিন্তু আমাকে আঘাত করতে পারেন না। পরীক্ষার হলে স্যার আমার খাতা নিয়ে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করতে পারেন না। এই শিক্ষকের বিচার দাবি করছি।

জানতে চাইলে শিক্ষক মো. গাফ্ফার মিয়া তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে হটাৎ পরীক্ষা দেবে না বলে এ শিক্ষার্থী চিৎকার করতে থাকে। এ সময় পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত আমরা চার শিক্ষক সেখানে যাই। কেন চিৎকার করছে জানতে চাই। এত কড়াকড়িভাবে সে পরীক্ষা দিতে দেবে না বলে জানায়। এরপর সে পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর নিজেই শরীরে ক্ষত করে কলেজ মাঠে গিয়ে চিৎকার করতে থাকে। পরে তাকে অধ্যক্ষের রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। স্যার তার সঙ্গে কথা বলার পরে সে কলেজ থেকে বেরিয়ে যায়।

এ বিষয়ে শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর শরীরে আঘাত করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ তা মিথ্যা। নকল করার সুযোগ না দেয়ায় ছেলেটি পরীক্ষার হলে চিৎকার শুরু করে। সে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গিয়ে নিজের শার্ট ছিড়ে ও শরীরে ক্ষত চিহ্ন করে কলেজ মাঠে এসে চিৎকার করে। পরে সেই শিক্ষক ও পরীক্ষার্থীর সঙ্গে আমি কথা বলি। এরপরও ছেলেটি কলেজ থেকে বিরিয়ে যায়।