নার্সের দেয়া ভুল ইনজেকশনে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের নার্সের দেয়া ভুল ইনজেকশনে আলী হোসেন (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রোববার (৮ এপ্রিল) সকালে ঝিনাইদহের উপ-শহরপাড়ায় অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এ সময় ক্লিনিকে থাকা অন্য রোগীরা ভয় ও আতংকে পালিয়ে যায়। ক্ষুব্ধ রোগীর স্বজনরা ক্লিনিকে ডাক্তারদের চেম্বারসহ গ্লাসের জানালা দরজা ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।

এ সময় ক্লিনিকের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা গা ঢাকা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। রোগীর স্বজন জাহিদুর রহমান জানান, গত ৫ এপ্রিল স্কুলছাত্র আলী হোসেনকে এ্যাপেনডিসাইটিস অপারেশনের জন্য ক্লিনিকে ভর্তি হয়। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের প্র্যাকটিশনার ডা. মোজাম্মেল হক এই অপারেশন করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, অপারেশনের পর রোগীর অবস্থা ভালই ছিল। রোববার ভোরের দিকে দায়িত্বরত নার্স ইনজেকশন পুশ করার পর সুস্থ থাকা আলী হোসেন অনেকটা ছটফট করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তিনি বলেন, ভুল চিকিৎসা ছাড়া এ্যাপেনডিসাইটিস অপারেশনে রোগী মৃত্যুর নজীর নেই। রোগীর আরেক স্বজন সাইদ লস্কার অভিযোগ করেন, ইতিপূর্বে ডাক্তার ও নার্সদের ভুল চিকিসায় হরিণাকুন্ড’র মথুরাপুর গ্রামের শাহানাজ ও মোকিমপুর গ্রামের মতলেব মৃত্যুবরণ করেন। রুবায়েত শিরিন নামে এক নারী অভিযোগ করেন, তার বোনের ছেলেকে নার্স ভুল ইনজেকশন দেওয়ার কারণে মৃত্যু মুখে পতিত হয়। পরে তাকে কুষ্টিয়ায় রেফার্ড করা হয়। ওই ক্লিনিকে নার্সদের চরম গাফলতি আছে বলেও শিরিনের অভিযোগ।

এ ব্যাপারে ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের ম্যানেজার ফরিদুল হুদা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ডাক্তার ও নার্সদের চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি ছিল না। আমরা সাধ্য মতো আলী হোসেনকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই ফজলুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রোগীর স্বজনরা এখনো কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।