‘ফেসবুকের উচিত পাবলিশারদের টাকা দেয়া’

প্রভাবশালী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রুপার্ট মারডক মনে করেন ফেসবুকের উচিত সংবাদ প্রকাশকদেরকে অর্থ পরিশোধ করা। তিনি মনে করেন কেব্‌ল কোম্পানি অর্থাৎ ডিশ সংযোগ দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন টিভি চ্যানেলগুলোকে টাকা দেয়, তেমনিভাবে সামাজিক মাধ্যমটিরও উচিত পাবলিশারদেরকে টাকা দেয়া।

সম্প্রতি ফেসবুক জানিয়েছে তারা ইউজারদের সহায়তায় বিশ্বস্ত কয়েকটি সংবাদ সংস্থা চিহ্নিত করবে এবং সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর খবর বিতর্কিত বিভিন্ন সংস্থার খবরের চেয়ে বেশি নিউজ ফিডে দেখাবে।

কিন্তু মারডক মনে করেন, বিশ্বস্ত সংবাদ সংস্থাগুলোকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে হলে ফেসবুকের উচিত হবে প্রকাশকদের একটি নির্দিষ্ট ফি প্রদান করা। তার মতে এধরনের ফি প্রদান করারও পরও ফেসবুকের ব্যবসার কোনও ক্ষতি হবে না।

মঙ্গলবার দেয়া বিবৃতিতে মারডক নিম্নমানের খবর প্রকাশকদেরকে জনপ্রিয় করার জন্য ফেসবুক ও গুগলকে দোষারোপ করেন। এই সমস্যাটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই চিহ্নিত করার জন্য মারডক তাদেরকে বাহবা দেন। কিন্তু তারা এর সমাধানে যে উদ্যোগ নিচ্ছেন তা যথেষ্ট নয় বলে তিনি মনে করেন।

মারডক বলেন, ‘জাকারবার্গের আন্তরিকতা নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু এখানে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে, যা নিয়ে প্রকাশক ও রাজনৈতিক পক্ষপাত বিরোধী ব্যক্তিরা চিন্তিত।’

উল্লেখ্য, মারডক বহুদিন ধরেই প্রকাশকদের সাথে সামাজিক মাধ্যমগুলোর উচিত কনটেন্ট পাবলিশারদের সাথে লাভের অংশ ভাগ করে নেয়া।

বর্তমানে, গ্রাহকেরা দ্রুত কেব্‌ল টিভির পরিবর্তে ইন্টারনেটে স্ট্রিমিং করে খবরসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখার প্রতি বেশি ঝুঁকছেন।

মারডক বর্তমানে টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ফক্সের অংশ ফক্স নিউজ, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং নিউজ কর্পোরেশনের মাধ্যমে নিউইয়র্ক পোস্ট পত্রিকা পরিচালনা করে থাকেন।

রিকোড নিউজ সাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সবগুলো সংবাদ প্রতিষ্ঠানই তাদের বহুল প্রচারিত মতামতের অনুষ্ঠান ও সম্পাদকীয় কলামে বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ব্যাপক সমর্থন জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, বেশিরভাগ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর ফেসবুক বা টুইটারে বিনা পয়সায় দেখা গেলেও নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালসহ অল্প কয়েকটি পত্রিকার গ্রাহক না হলে তাদের খবর পড়া যায় না। বর্তমানে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের গ্রাহক সংখ্যা ২৩ লাখ। এর মধ্যে দৈনিক পত্রিকাটি প্রিন্টেড ভার্সনের গ্রাহক ১৪ লাখ।