বনশ্রীতে গৃহকর্মীর মৃত্যু : গৃহকর্তা-দারোয়ান রিমান্ডে

রাজধানীর বনশ্রীতে গৃহকর্মী লাইলিকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গৃহকর্তা মুন্সী মইনউদ্দিন ও দারোয়ান তোফাজ্জল হোসেন টিটুর তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই মামলায় গৃহকর্ত্রী শাহনাজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম এ কে এম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক মনজুর রহমান তাদের আদালতে হাজির করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য মুন্সী মইনউদ্দিন ও তোফাজ্জল হোসেন টিটুর সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গৃহকর্ত্রী শাহনাজকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে গৃহকর্তা ও দারোয়ানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং শাহনাজকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে বনশ্রীর জি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর ভবনের নিচ তলায় মইনউদ্দিনের বাসায় গৃহকর্মী লাইলি ওরফে মরিয়মকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে বাসার সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

লাইলির স্বজনরা অভিযোগ করেন, ওই গৃহকর্মী আত্মহত্যা করেননি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। গৃহকর্তা মইনউদ্দিন এটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

লাইলির স্বজনদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে মইনউদ্দিনের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। এ সময় তারা একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। তারা মইনউদ্দিনের বাসায় ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানে গেলে তারা বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ওই ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে খিলগাঁও থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। গৃহকর্মী লাইলির ভাসুর শহিদুল ইসলাম একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় অপর মামলাটি করে পুলিশ।