বিদ্যালয়ের টয়লেটে ছাত্রীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থানা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টয়লেট থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ইসরাত জাহান ইস্পা নামে এক ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। উদ্ধার হওয়া ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। সে উপজেলার নদমুলা গ্রামের মো. হারুনুর রশিদের মেয়ে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী রাফিজা ও ইভা প্রাকৃতিক কাজ সাড়তে স্কুল ভবনের ২য় তলার টয়লেটে গিয়ে রুমের দরজা ভেতর থেকে আটকানো পায়। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর তারা উকি দিয়ে দেখতে পায় ভেতরে কেউ পড়ে আছে। পরে তারা শিক্ষকদের খবর দেয়। এ খবর শুনে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোদাচ্ছের হোসেন ইস্পাকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা এবং অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসার পর তার অবস্থা স্বাভাবিক হয়।

খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম উজ্জ্বল তালুকদার, থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. লিয়াকত হোসেন তালুকদারসহ বিদ্যালয়ে যান।

এ ঘটনার তদন্তে বিদ্যালয়ের শিক্ষক নূরুন্নাহার বেগমকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাইরের কেউ জড়িত নয় বরং স্কুলের ভেতরের কেউ কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে অভিভাবকসহ সচেতন মহলের ধারণা।

এ ব্যাপারে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাবুদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছেন। তবে থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তিনি আরও জানান, ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ কাজ শুরু করেছে।