মমতাকে আমন্ত্রণ করেও ফিরিয়ে নেয়া হলো

দিল্লির সেন্ট স্টিফেনস কলেজের অনুষ্ঠানে থাকছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধায়। প্রোটোকল সংক্রান্ত সমস্যায় আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করেছে কলেজ।

এই ঘটনার নেপথ্যে বিজেপি ও আরএসএসের চক্রান্ত দেখছে তৃণমূল।

রাজ্যসভার সাংসদ ও তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন বলছেন, এভাবে মমতাকে চুপ করানো যাবে না। তিনি প্রস্তাবিত দিনেই দিল্লি যাবেন। অন্য একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। তাছাড়া কয়েকটি বিরোধীদলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণও জানাবেন মমতা। এর বাইরেও থাকছে আরও কয়েকটি কর্মসূচি।

দলের অন্য এক প্রবীণ সাংসদও বলেছেন, ‘এসব করে মমতাকে দমিয়ে দেয়া যাবে না। তার দিল্লি সফর যেমন ছিল তেমনই থাকছে।’

মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার মুখ্যমন্ত্রীর সফর বাতিলের মতো ঘটনা ঘটেছে।

শিকাগোর ধর্মসভায় স্বামী বিবেকানন্দর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের ১২৫ বছর উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পান মুখ্যমন্ত্রী। কিন্ত গত মাসে আয়োজকরা জানান কয়েকটি কারণে অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। যাত্রা স্থগিত করতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। এরপর একেবারে শেষ মুহূর্তে ৪ দিনের চীন সফরও বাতিল করেন মমতা। চীনের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার ব্যাপার নিশ্চয়তা না থাকায় সফর বাতিল করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। মমতার সঙ্গে চীনের রাজনৈতিক নেতাদের বৈঠক কেন নির্ধারণ করা গেল না তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন রাজ্য সরকার।

ওই দুই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই দিল্লির সেন্ট স্টিফেনস কলেজের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে নেয়া হলো। কাজেই তৃণমূল মনে করছে গোটা ব্যাপারটা ঘটিয়েছে বিজেপি ও আরএসএস।

তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন জানিয়েছেন, ‘ওরা (বিজেপি-আরসএস) চেষ্টা করতে থাকুক, কিন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চুপ করানো যাবে না।’

অবশ্য তৃণমূলের এই অভিযোগ সম্পর্কে এখনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি বিজেপি।