মা-বোনকে বেঁধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, পরে হত্যা!

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের সময় ওই ছাত্রীর মা ও তার ছোট বোনকে বেঁধে রাখা হয় বলে অভিযোগ করছেন স্বজনরা। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। কুয়াকাটার সেরাজপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ছাত্রীর নাম ইভা (১১)। স্থানীয় মহিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পড়ত সে। তার বাবার নাম ইসমাইল হোসেন। তিনি একজন কাঠমিস্ত্রি। তাদের বাড়ি সেরাজপুর গ্রামে।

স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ঘরে গোঙরানির শব্দ শুনে স্থানীয়রা গিয়ে নগ্ন অবস্থায় ইভার মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় তার মা ও ছোট বোনের হাত মুখ বাঁধা ছিলো।

নিহত ইভার চাচা মো. ইউসুফ বলেন, মহিপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে চিৎকার শুনতে পেয়ে আমি ও আমার ছোট ভাই ইসমাইল বাড়ির ভেতরে ঢুকি। এরপর দেখতে পাই, ইভার মা ও ছোট বোনের হাত-মুখ বাঁধা ছিল। ইভা ঘরের ভেতরে নগ্ন অবস্থায় পড়ে আছে। এরপর দ্রুত ইভাকে মহিপুর ২০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অবস্থায় ইভার মাকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইভার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, হত্যার মোটিভ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য ইভার লাশ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।