রমজানকে স্বাগত জানিয়ে যে ভাষণ দিয়েছেন প্রিয়নবি

শাবান মাস শেষ হলেই শুরু হবে রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজান। হিজরি সন অনুযায়ী এবার ১৬ মে যদি শাবান শেষ হয়ে যায় তবে ১৬ মে দিবাগত রাতেই রমজানের রোজা পালনের নিয়তে মানুষ সাহরি খাবে। রমজান সম্পর্কে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেছেন।

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ বক্তব্য মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহর বিধান রমজানের ফরজ রোজা পালনে সর্বোত্তম অনুপ্রেরণা। হাদিসে এসেছে-

হজরত সালাম ফারসি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, শাবান মাসের শেষ দিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দানকালে বলেন, ‘হে লোক সকল! তোমাদের কাছে একটি মর্যাদাপূর্ণ এবং বরকতপূর্ণ মাস উপস্থিত। এতে রয়েছে, এমন এক রাত যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ মাসে আল্লাহ তাআলা সিয়াম (রোজা) ফরজ করেছেন এবং রাত দীর্ঘ নামাজ আদায় তোমাদের জন্য পূণ্যের কাজ হিসেবে দিয়েছেন।

যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরজ আদায় করলো, সে যেন অন্য মাসের সত্তরটি ফরজ আদায় করলো। যে ব্যক্তি এ মাসে একটি নফল কাজ আদায় করলো, সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ কাজ আদায় করলো।

এ মাস ধৈয্যের মাস, আর ধৈয্যের বিনিময় হচ্ছে জান্নাত। এ মাস হচ্ছে সহানুভূতি প্রদর্শনের মাস।’ (মিশকাত)

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ হাদিস মানুষকে রমজানের রোজা গুরুত্বের সঙ্গে পালনে নিয়োজিত করার অনুপ্রেরণা দেয়। দীর্ঘ এক মাস আল্লাহর হুকুম যথাযথ রমজানের রোজা পালনে গুরুত্বের প্রতি আগ্রহী করে তোলে।

প্রিয়নবির স্বাগত ভাষণ থেকে আরো বুঝা যায় যে, রমজান মাস হচ্ছে হেদায়েত লাভের মাস, আল্লাহ তাআলার রহমত লাভের মাস, গোনাহ থেকে ক্ষমা লাভের মাস এবং জাহান্নাম আগুণ থেকে নাজাতের মাস।

সুতরাং রমজানকে স্বাগত জানাতে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের জন্য বর্তমান শাবান মাসেই রোজা রেখে এবং নফল ইবাদাত বন্দেগি করে রমজানের প্রস্তুতি নেয়া প্রত্যেক ঈমানদারের জন্য আবশ্যক কর্তব্য।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর নির্ধারিত বিধান রোজা পালনে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে প্রিয়নবির ভাষণকে আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।