সাইকেলে স্ত্রী, বাইকে ধাওয়া দিয়ে অ্যাসিড ছুড়ল স্বামী

দুই বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তরুণী। স্বামী সংসারে গিয়ে ভালোবাসা পরিণত হয় অত্যাচারে। শ্বশুর-শাশুড়ির নানাভাবে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারে বাবার বাড়ি চলে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। স্বামীর ছোড়া অ্যাসিডে ঝলসানো মুখ আর শরীর নিয়ে শুয়ে আছেন এখন হাসপাতালের বেডে। একই ঘটনায় তার ছোট বোনও জখম হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের নলহাটি পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। গত বুধবার বিকেলে মোটরসাইকেল চালিয়ে পিছন থেকে ধাওয়া দিয়ে এসিড ছুড়ে মারেন ভালোবেসে বিয়ে করা ওই পাষণ্ড স্বামী। এ ঘটনায় স্বামী রনি শেখের বিরুদ্ধে নলহাটি থানায় মামলা করেছেন আক্রান্তের বাবা।

রামপুরহাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের বার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ওই তরুণীর ছোট বোন জানায়, দুই বছর আগে রনিকে ভালোবেসে বিয়ে করেন তার বোন। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর-শাশুড়ি নানাভাবে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করতো।

আক্রান্তের বাবা জানান, শ্বশুর বাড়ির অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে সাতদিন আগে পালিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বোনকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে দুধের প্যাকেট কিনতে যায়। ফেরার পথে ওই ঘটনা ঘটে।

আক্রান্ত তরুণীর ছোট বোন আরও বলেন, ‘জামাইবাবু দিদিকে সন্দেহ করতো। এ দিন (বৃহস্পতিবার) রাস্তার মধ্যেই শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেয়। দিদি বলেছিল, অত্যাচার আর সহ্য করতে পারবে না। তাই শ্বশুরবাড়ি আর যাবে না। তখন কথা কাটাকাটি হয়। কথা বলার ফাঁকেই জামাইবাবুর হাতে থাকা অ্যাসিডের বোতল থেকে কয়েক ফোঁটা অ্যাসিড দিদির হাতে পড়ে। দিদি বুঝতে পেরে আমাকে সাইকেলের পিছনে বসিয়ে সাইকেল চালানো শুরু করে। তবে পিছন থেকে জামাইবাবু মোটরসাইকেলে এসে অ্যাসিড ছুড়ে মারে।’

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওই তরুণীর মুখের ডান পাশে, গলার এবং ডান হাতের কিছুটা অংশ অ্যাসিডে পুড়ে গেছে। তবে কিশোরীর বোনের আঘাত কম। হাতে, মুখে অ্যাসিডের সামান্য ছিটা লেগেছে। তবে দু’জনেই চিকিৎসাধীন।