অচিরেই বাংলাদেশ হবে খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ : খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘সরকার ক্ষুধামুক্ত, আত্মনির্ভরশীল ও উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে, এখন নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতকরণ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অন্যতম অগ্রাধিকার কর্মসূচি।’

রবিবার সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষ থেকে ইউএন ফুড সিস্টেম সামিট ২০২১ আয়োজনের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশের ‘দ্বিতীয় জাতীয় পর্যায়ের সংলাপ’ শীর্ষক সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খাদ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে কৃষির উন্নয়নে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ খ্যাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।’

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদাপূরণ ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টিনীতি ২০২০ প্রণয়ন ও দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল। দেশের মানুষের জীবন মান বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খাদ্য ও পুষ্টিখাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। অচিরেই বাংলাদেশ হবে খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ।’

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, সাবেক সচিব জাকির হোসেন আকন্দ, জাতিসংঘ ফুড এন্ড এগ্রিকালচার এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিভ রবার্ট ডি সিম্পসন, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমট চেঞ্জ এন্ড ডেভলপমেন্ট এর ডাইরেক্টর প্রফেসর ড. সালিমুল হক।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিগণ এ সময়ে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।