অপেক্ষা করুন গণবিস্ফোরণ ঘটবে : মওদুদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, আরও একটু অপেক্ষা করুন গণবিস্ফোরণ ঘটবে। মাঠে নামবে দেশের মানুষ। টেলিফোনে কথা নয়, সংলাপ করতে এই ফ্যাসিবাদী সরকার বাধ্য হবে। বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে জনগণও আগামীতে মাঠে নামবে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের লেবার পার্টির একাংশের উদ্যোগে প্রতিনিধি সভা উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।

দলটির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, লেবার পার্টির মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।

মওদুদ আহমদ বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন একটি অংশ মাত্র। ছাত্রদের এক অংশের বিস্ফোরণ সরকার কনটেন্ট করতে পারছে না। দেশের মানুষের ক্ষোভ কীভাবে কনটেন্ট করবেন? দেশের মানুষ অপেক্ষা করছে কিছু করার জন্য। তাদের মনে ক্ষোভ দেশে গণতন্ত্র নেই, হাজার মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় যে আন্দোলন শুরু হয়েছে এগুলো মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। কোটা আন্দোলনে সরকারের প্রতারণার কারণে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসকে শিক্ষার্থীরা এখন আর বিশ্বাস করে না। নির্লজ্জ মিথ্যাচার প্রতারণার সরকারের আচরণে দেশের মানুষ মর্মাহত। রাষ্ট্র পরিচালনায় এই সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

মিরপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মওদুদ বলেন, মিরপুরে যুবলীগ-ছাত্রলীগকে নামিয়ে দিয়েছেন রাস্তায়। ঠিক আগের মতো। কোটা আন্দোলনের সময়ে তাদের সমর্থন দিয়ে পরে যখন ব্যাক ট্র্যাক করেছেন। আজকে আবার একই কাজ করছেন। এটা গণবিস্ফোরণের একটি অংশ। ছাত্রছাত্রীরা হলো সমাজের একটি অংশ। এই অংশের একটি বিস্ফোরণ আপনারা ওভারটেক করতে পারেননি। দেশের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ হলো এই সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, দখল, অপশাসন। দেশের মানুষ অপেক্ষা করছে।

তিনি বলেন, এই সরকার সব কিছু দলীয়করণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিজেদের পছন্দমতো ভিসিকে বসিয়েছে। এই সরকার গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানুষের মৌলিক অধিকারে বিশ্বাস করে না। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার কথা মুখে বলে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। দুর্নীতি আর দুঃশাসনের রোল মডেল হিসেবে দেশকে দাঁড় করেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনকে এখন র‌্যাব, পুলিশ আর বিচার বিভাগকে দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে।