আইসিসি বিশ্বকাপ নিয়ে ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে বললো

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উর্ধ্বগতির কারণে আইপিএল স্থগিত করা হয়েছিল মাঝপথে। এরপরই প্রশ্ন উঠে যায়, আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টি আয়োজন করতে পারবে তো ভারত? ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়, তাদের দেশে হয়তো এ বছর আর বিশ্বকাপ আয়োজন করা সম্ভব হবে না। এ কারণে বিশ্বকাপ নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার আইসিসির ওপর ছেড়ে দেয় বিসিসিআই।

আজ (১ জুন, মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে আইসিসির কার্যনির্বাহী বোর্ডের সভা। কিন্তু জানা যাচ্ছে, এই সভায় বিশ্বকাপ নিয়ে আইসিসি কোনো সিদ্ধান্তই নেয়নি। তারা বরং, সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার ছেড়ে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ওপরই।

শুধু তাই নয়, আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে তারা জানিয়েছে, এর মধ্যেই যেন বিসিসিআই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে যে, তারা নিজেরা আয়োজন করবে নাকি ভিন্ন কোথাও আয়োজন করবে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

২৯ মে জরুরি সভা করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে মূল এজেন্ডাই ছিল বিশ্বকাপের আয়োজন। কিন্তু তার আগেই বিসিসিআই বিষয়টা পুরোপুরি ছেড়ে দেয় আইসিসির কাছে। কিন্তু মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ভাচুয়াল মিটিংয়ে আইসিসি এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই নিলো না। ভার্চুয়ালি মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এবং সেক্রেটারি জয় শাহ।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিসিসিআই আইসিসির কাছে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য একমাস সময় চেয়েছে। বিসিসিআই চায়, এই এক মাসে ভারতের স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা পর্যবেক্ষণ করতে।

আইসিসি বোর্ডের একটি ঘনিষ্ট সূত্র পিটিআইকে বলেছে, ‘হ্যাঁ, আইসিসি বোর্ড ভারতীয় বোর্ডের চাওয়ার সঙ্গে একমত হয়েছে। এ কারণে বিশ্বকাপের আয়োজক তথা ভেন্যু নির্ধারণে তারা আরও একমাস তথা আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত সময় পাচ্ছে। আগামী মাসে বোর্ডের কাছে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা নিয়ে তারা হাজির হবে।’

এরই মধ্যে ভারতে করোনা তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে বিপর্যয়কর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্কের মধ্যে যদি বিসিসিআই ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে সক্ষম না হয়, তাহলে বিশ্বকাপ চলে যেতে পারে আরব আমিরাতের মাটিতে। যেখানে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আয়োজন করা হবে আইপিএলের স্থগিত হওয়া বাকি অংশ।

আরব আমিরাতে আয়োজন করা হলেও বিশ্বকাপের আয়োজকের মর্যাদা থাকবে ভারতের কাছেই।