আগেও ১৪৯ যাত্রীর জীবন বাঁচিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ

শুক্রাবার (২৭ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৬টায় ওমানের মাস্কাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২২ ফ্লাইট। মাঝ আকাশে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন বিমানের পাইলট ক্যাপটেন নওশাদ আতাউল কাইউম।

বিষয়টি তিনি ফার্স্ট অফিসারকে জানিয়ে ফ্লাইটটি আশপাশে কোথাও জরুরি অবতরণ করতে বলেন। শেষ পর্যন্ত ঝুঁকি এড়িয়ে ভারতের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় সফলভাবে ফ্লাইটটিকে ভারতের নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করান তারা। তবে যাত্রীদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

নওশাদ ও তাঁর ফার্স্ট অফিসারের বুদ্ধিমত্তায় জীবন রক্ষা পেয়েছে ওমান থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসা ১২৪ যাত্রীর। তবে এটি প্রথম নয়। ৫ বছর আগে ক্যাপ্টেন নওশাদ তার বুদ্ধি ও কৌশল প্রয়োগ করে আরও ১৪৯ যাত্রী, দুই পাইলট আর ৭ ক্রু’র জীবন বাঁচিয়েছিলেন।পেয়েছেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

বিমান সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১২২ ফ্লাইটে ক্যাপ্টেনের দায়িত্বে ছিলেন নওশাদ। সেই ফ্লাইটটি মাস্কাট বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা করেছিল। টেক-অফ করার পর মাস্কাট বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ক্যাপ্টেন নওশাদকে জানানো হয়, রানওয়েতে টায়ারের কিছু অংশ পাওয়া গেছে, যা সম্ভবত বিমান এয়ার ক্রাফটের হতে পারে।

যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে নওশাদ বিমানটি চট্টগ্রাম অবতরণ না করে ঢাকা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। অবতরণের আগে ক্যাপ্টেন ফ্লাইটটি নিয়ে রানওয়ের উপরে ‍দুইবার লো-লেভেলে ফ্লাই করেন। তখন দেখা যায়, উড়োজাহাজের পেছনের দুই নম্বর টায়ারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে ক্যাপ্টেন নওশাদ উঁচু মানের দক্ষতার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত টায়ার ও ল্যান্ডিং গিয়ারসহই নিরাপদে ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করাতে সক্ষম হন।

এই ঘটনার পর ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যাপ্টেন রন অ্যাবেল ক্যাপ্টেন নওশাদকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রশংসাপত্র পাঠায়।

২০০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে যোগদান করেন ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম।