আলীগড়ে জিন্নাহর ছবি নিয়ে ভারতে বিতর্ক

ভারতের আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে টাঙানো পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ছবি সরিয়ে ফেলার জন্য চিঠি দিয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপির এমপি সতীশ গৌতম। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তারিক মনসুরকে লেখা চিঠিতে তিনি জানতে চান কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে জিন্নাহর ছবি রয়েছে। ভারতের অন্যতম সেরা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার এমন চিঠিতে শুরু হয়েছে তোলপাড়।

জানা গেছে, সতীশ গৌতমের ওই চিঠির প্রেক্ষিতে হরিয়ানার এক কংগ্রেস বিধায়ক বলেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছবিতে আপত্তি কেন থাকবে? ফলে মরহুম এ নেতাকে নিয়ে শুরু হয়েছে কংগ্রেস-বিজেপির রাজনীতির দড়ি টানাটানি৷ বিজেপির বিতর্কিত আর এক নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী দাবি করেছেন, জিন্নাহ ভারত ভাগের জন্য দায়ী। তার ছবি কোনোভাবেই দেশের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকা উচিৎ নয়। আর তার সুরে সুর মিলিয়েছেন লক্ষ্ণৌয়ের শিয়া মুসলিম ধর্মগুরু মৌলানা এজাজ।

এমনই পরিস্থিতিতে এবার জিন্নাহর পক্ষে সাফাই গেয়েছেন হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায়ক করণ দালাল। তার দাবি, মোহম্মদ আলী জিন্নাহ একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তার ছবি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাখা যেতেই পারে। হতে পারে কিছু নেতা দেশভাগের পর পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলনে তাদের অবদান অস্বীকার করা যায় না।

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের অন্যতম প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আজীবনের জন্য সদস্য মোহম্মদ আলী জিন্নাহ ও মহাত্মা গান্ধী। ১৯৩৮ সালে দুই ব্যক্তিত্বকে এএমইউ কর্তৃপক্ষ এই সম্মাননা দিয়েছিল।