‘ইনজুরি নেই, আমাকে জোর করে বাদ দেয়া হয়েছে’

বিশ্বক্রিকেটে আফগানিস্তান নবাগত হলেও এরিমধ্যে নজর কেড়েছে। কোয়ালিফায়ার খেলে জায়গা করে নিয়েছে দশ দলের বিশ্বকাপে। ক্রিকেটে আফগানদের দ্রুত উন্নতির পেছনে যে কয়েকজন ক্রিকেটারের সবচেয়ে বেশি অবদান কিংবা দলটির ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন যে কজন ক্রিকেটার তার মধ্যে উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শেহজাদ অন্যতম।

বিশ্বকাপে দুই ম্যাচ যেতে না যেতেই ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন শেহজাদ। তার পরিবর্তে দলে নেয়া হয়েছে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ইকরাম আলি খিলকে। শেহজাদ বাদ পড়ার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচও খেলে ফেলেছে আফগানিস্তান।

আর এমন সময় নিজের বাদ পড়া নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন মোহাম্মদ শেহজাদ। তার দাবি, ইনজুরির কোনো সমস্যা না থাকলেও তাকে জোর করে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যমে এক অডিও বার্তায় মোহাম্মদ শেহজাদ বলেন, ‘আমার ইনজুরি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই এবং আমি সম্পূর্ণ ফিট আছি। কোনো কথাবার্তা ছাড়াই আমাকে স্কোয়াড থেকে জোর করে বাদ দেয়া হয়েছে।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলার সময় হাঁটুতে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছেড়ে বের হয়ে যেতে হয় মোহাম্মদ শেহজাদকে। তবে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই তিনি মাঠে নামেন। অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচে ইনজুরিটা আরো বেড়ে যায়। আর তাতেই তার বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় বলে খবর প্রকাশিত হয়। ৭ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে শেহজাদের বাদ পড়ার কথা জানায় আফগান ক্রিকেট বোর্ড।

২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে আফগানদের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক মোহাম্মদ শেহজাদ। ৫৫ ওয়ানডে ইনিংসে সেই সময়ে শেহজাদের রান ১৮৪৩। আফগানদের জার্সি গায়ে ৮৪ ওয়ানডে খেলে ৩৩.৬৬ গড়ে ২৭২৭ রান করেছেন শেহজাদ। ১৪ ফিফটির সাথে শেহজাদের আছে ৬ সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপে অবশ্য ভালো করতে পারেননি শেহজাদ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো রান করতে ব্যর্থ হন। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেন মাত্র ৭ রান।

শেহজাদের বদলে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন ইকরাম আলি খিল। চলতি বছরের মার্চে অভিষেক হয়েছিল ১৮ বছর বয়সী ইকরাম আলি খিলের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২ ওয়ানডে ও ১ টেস্ট খেলেন তিনি। ১ টেস্টে ৭ ও ২ ওয়ানডেতে ইকরাম আলি খিলের রান মাত্র ৬।