ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জমাদানের নির্দেশ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

সোমবার (১২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনিচুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আদালতের শুনানিতে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে উচ্চ আদালতকে অবগত করতে বলা হয়েছে।

এর আগে রবিবার এ বিষয়ে উচ্চ আদালত থেকে সর্বশেষ শুনানি হয়েছিল বলে জানান তিনি।

এদিকে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় আত্মপক্ষের সমর্থন জানাতে ক্যাম্পাসে এসেছেন ভুক্তভোগী ফুলপরী ও অভিযুক্তরা। সোমবার (১২ জুন) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত উপাচার্যের সভাকক্ষে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উভয়পক্ষ তাদের আত্মপক্ষের সমর্থনে সাক্ষ্য দেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আজ ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের মধ্যে দুই জনের (মোয়াবিয়া জাহান ও হালিমা খাতুন উর্মি) পূর্বের লিখিত বক্তব্য ছাড়াও নতুন বক্তব্য থাকায় তারা বক্তব্য সংযোজন করেছেন। ঈদের ছুটি শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে সকল কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় ফুল পরী নামের এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাচ্ছুম ও মোয়াবিয়া, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ এবং হাইকোর্ট কতৃক পৃথক পৃথকভাবে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এদিকে এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট হয় ফলে হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।

পরে এ ঘটনায় প্রতিটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ফুলপরির নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়। এর প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের হল এবং শাখা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়