উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপেও আ.লীগের জয়জয়কার

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের উত্তাপহীন নির্বাচনে বেশিরভাগ উপজেলায় জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। আর বাকিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগে জয় পেয়েছে একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

রবিবার অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ১০৭টি উপজেলার বেশিরভাগে জয় পেয়েছে নৌকার প্রার্থীরা।

গতকাল ১২৮টি উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে আগেই স্থগিত হয়ে যায় ছয়টিতে। বাকি ১২২টি উপজেলার ১৫টিতে ভোট হয়নি। এগুলোতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান তিনটি পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফল নিষ্পত্তি হয়েছে।

মোট ২৪টিতে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। এ দফায় সব মিলিয়ে ভোটের আগেই ৩৯ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। যেসব উপজেলার ফল পাওয়া গেছে সেগুলো হলো-

ঢাকা বিভাগ: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মুজাহিদুর রহমান, রূপগঞ্জে বিজয়ী আওয়ামী লীগের শাহজাহান ভূঁইয়া, মুন্সীগঞ্জ সদরে বিজয়ী আওয়ামী লীগের আনিসুজ্জামান আনিস, সিরাজদীখানে বিজয়ী আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন আহমেদ।

চট্টগ্রাম বিভাগ: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিজয়ী আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক বাদশা, চাটখিলে বিজয়ী আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর কবির,  সেনবাগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন জাফর আহম্মেদ চৌধুরী, সোনাইমুড়ীতে খন্দকার রুহুল আমিন, সুবর্ণচরে খায়রুল আনম চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জে মো. শাহাব উদ্দিন। তারা প্রত্যেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদরে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ফিরোজুর রহমান ওলি, নাসিরনগরে আওয়ামী লীগের রাফিউদ্দীন, সরাইলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী রফিক উদ্দীন ঠাকুর, আশুগঞ্জে আওয়ামী লীগের মো. হানিফ মুন্সি, নবীনগরে আওয়ামী লীগের কাজী জহির উদ্দীন সিদ্দিক, আখাউড়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী আওয়ামী লীগের আবুল কাশেম ভূঁইয়া।

খুলনা বিভাগ: খুলনার রূপসায় বিজয়ী আওয়ামী লীগের কামালউদ্দিন বাদশা, কয়রায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এস এম শফিকুল ইসলাম, দাকোপে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মুনসুর আলী খান, পাইকগাছায় আওয়ামী লীগের গাজী মো. আলী, তেরখাদায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. শহিদুল ইসলাম জয়ী হয়েছেন। ফুলতলা ও ডুমুরিয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিজয়ী আওয়ামী লীগের শাহী আলম বাচ্চু, ফকিরহাটে আওয়ামী লীগের স্বপন দাস, মোল্লারহাটে আওয়ামী লীগের শাহীনুর আলম ছানা।

যশোরের বাঘারপাড়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নাজমুল ইসলাম কাজল, ঝিকরগাছায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মনিরুল ইসলাম, চৌগাছায় আওয়ামী লীগের ড. মোস্তানিসুর রহমান, অভয়নগরে আওয়ামী লীগের শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর, মনিরামপুরে আওয়ামী লীগের নাজমা খানম, কেশবপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাজী রফিকুল ইসলাম জয়ী হয়েছেন।

বরিশাল বিভাগ: পটুয়াখালী সদরে বিজয়ী আওয়ামী লীগের গোলাম সারওয়ার, গলাচিপায় আওয়ামী লীগের মো. শাহিন, কলাপাড়ায় আওয়ামী লীগের এস এম রাকিবুল আহসান, মির্জাগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবু বকর সিদ্দিক, দুমকীতে আওয়ামী লীগের হারুনর রশিদ হাওলাদার, বাউফলে আওয়ামী লীগের আবদুল মোতালেব হাওলাদার, ভোলার তজুমদ্দিনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোশারফ হোসেন দুলাল, লালমোহনে আওয়ামী লীগের গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, বরগুনা সদরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. মনিরুল ইসলাম, আমতলীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গোলাম সারওয়ার ফোরকান, বেতাগীতে আওয়ামী লীগের মাকসুদুর রহমান ফোরকান, বামনায় আওয়ামী লীগের সাইফুল ইসলাম লিটু, পাথরঘাটায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোস্তফা গোলাম কবির জয়ী হয়েছেন।

পিরোজপুরের কাউখালীতে বিজয়ী জাতীয় পার্টির (জেপি) আবু সাঈদ মিয়া মনু, ইন্দুরকানীতে আওয়ামী লীগের এম মতিউর রহমান, নাজিরপুরে আওয়ামী লীগের অমূল্য রঞ্জন হালদার জয়ী হয়েছেন।