সাতক্ষীরায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো ক্ষেত পরিদর্শন ও মাঠ দিবসে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। তারই ফলশ্রুতিতে আজ আমাদের কৃষকরা অল্প জমি থেকে অধিক ফসল ফলাতে সক্ষম হচ্ছেন। সুস্বাদু ও উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সবজি হিসেবে সারা বছরই থাকে টমেটোর চাহিদা। শীতকালীন ফসল হলেও বর্তমানে গ্রীস্মকালীন টমেটোর জাত উদ্ভাবন হওয়ায় অসময়ে টমেটো চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা, দেখাচ্ছেন দৃষ্টান্ত। এছাড়া গ্রীস্মকালীন টমেটোর আবাদও বেশ লাভজনক। এজন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গ্রীস্মকালীন টমেটোর আবাদ সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।’

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড টমেটো চাষের মাঠ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিঁনি এ কথা বলেন।

বৃহষ্পতিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের বাঁটরা গ্রামের ঈদগাহ চত্বরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবিত গ্রীস্মকালীন হাইব্রিড টমেটো-৪ ও ৮ জাতের আবাদ সম্প্রসারণে কৃষক উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সাতক্ষীরায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫৭ হেক্টর জমিতে গ্রীস্মকালীন টমেটোর আবাদ হয়েছে। যা গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৫৮ ভাগ বেশি।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ আরো বলেন, ‘দেশের দক্ষিণের জেলা সাতক্ষীরা। এখানে লবণাক্ততার প্রভাব রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এখানে আরো লবণাক্ততা বাড়ছে। তারপরেও আমাদের কৃষি গবেষকরা উচ্চ ফলনশীল গ্রীষ্মকালীন টমেটো জাত উদ্ভাবন করে সাফল্য পেয়েছেন। এখানকার কৃষকেরা এই ফসল চাষ করে সাফল্যের মুখ দেখছেন।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক নাজিরুল ইসলাম।

সিনিয়র কৃষি গবেষক ডা. মো.ফারুক হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
তিঁনি বলেন, ‘উন্নত জাতের টমেটো চাষে কৃষকের মুখে হাসি দেখতে পাচ্ছি। সাতক্ষীরার কয়েকটি এলাকার মধ্যে তালার নগরঘাটা ও কলারোয়ার বাঁটরা গ্রামে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করছেন কৃষকরা। সরকার কৃষিতে বিপ্লব ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ করছে, ভবিষ্যতে কৃষিতে বিপ্লব আসবে।’

মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিনী ড. সোহেলা আক্তার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক্সপার্ট পুলের সদস্য কৃষিবিদ হামিদুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. বদিউজ্জামান, কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী জেরীন কান্তা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলিমুর রহমান।

স্থানীয় প্রান্তিক কৃষকদের পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, কৃষিবিদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

পরে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ গ্রীস্মকালীন টমেটোর ক্ষেত পরিদর্শন করেন।

এর আগে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী, তার সহধর্মিনী ও অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।